মির্জাগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই সম্ভাব্যচেয়ারম্যান প্রার্থীর সমার্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন ছাত্রলীগকর্মী আহতহয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা আটটার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের চৈতাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছে-মাধবখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগেরকর্মী মোঃ আবুল বাশার (১৮), মোঃ রমজান আকন(১৯) ও মোঃ জহির উদ্দিন (১৮)।তাদের মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ও আহতদেরসূত্রে জানা যায়, মাধবখালী ইউনিয়নে আগামী ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়নআওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু ও ওই ইউনিয়নের সিনিয়রসহ-সভাপতি প্রফেসার মো. আবদুল মালেক গ্রাম-গঞ্জে নির্বাচনী প্রচারনাচালাচ্ছেন। গত কয়েকদিন আগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমার্থদের মধ্যেকথাকাটা হয়।
এর জের হিসেবে সোমবার সন্ধ্যা ৮ টার দিকে মাধবখালী ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলুর জামাতার নেতৃত্বে ১৫-২০
জনের একদল সন্ত্রাসী এসে সম্ভাব্য প্রার্থী প্রফেসার আবদুল মালেকেরসমার্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় আমাদের
ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রাতাদরেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতিকাজী মিজানুর রহমান লাভলু মোবাইল ফোনে বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটির
জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খুব শীঘ্রই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেব। সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সিনিয়র-সহ সভাপতি প্রফেসার মো. আবদুল মালেক বলেন, আগামী ইউপিনির্বাচনকে সামনে রেখে আমি গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে
তাঁর লোকজন আমার কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি জেলা ও উপজেলাআওয়ামীলীগের নেতাদের বিয়টি অবহিত করেছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নিবে তা
আমি মেনে নিবো।মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মহিববুল্লাহ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। লিখিতঅভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।