বরিশাল ভোলা মহাসড়কে আর.এইচ.ডি’র. এস.ও সাখাওয়াতের কালো থাবা ! - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল ভোলা মহাসড়কে আর.এইচ.ডি’র. এস.ও সাখাওয়াতের কালো থাবা !


৮ বছর বরিশাল ডিভিশনে থেকে অঢেল সম্পত্তির মালিক। সরকারি কর্মচারী হয়েওসাপলাইয়ের কাজ, ঠিকাদারের সাথে আতআতের মাধ্যমে ম্যান্টেনেজের কাজ করা।* বহুমানুষের প্রাণের দাবী বরিশাল ভোলা মহাসড়কের উন্নয়ন। যে সময় উক্ত রাস্তাটি ছিলনা। তখনকার সময় বরিশাল থেকে ভোলা বা তদঞ্চলীয় লোকদের একামাত্র যাতায়েতের মাধ্যম ছিলনৌ-পথ, ছিলনা উন্নয়নের কোন ছায়া। অবহেলিত লোকদের অনেক কষ্টের মাধ্যমে জীবনজীবিকা করতে হতো। হোসেন মোঃ এরশাদ সরকারের আমলে উক্ত রাস্তাটি করার উদ্যোগনিলে পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রথম বার ক্ষমতাসীল আওয়ামীলীগ আসার পর রাস্তাটি
বাস্তবায়নের রুপ দেয়। তখনকার সময় রাস্তাটি অধিগ্রহন ছাড়াই জায়গার মালিকগণরাস্তাটি হওয়ার জন্য নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে ছেড়ে দেন। মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তনসহ ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ি ভাড়া মার্কেট গাড়ি চলাচল সহ ভোলা-বরিশাল সংযোগস্থাপন হয়। বর্তমানে রাস্তার বেহালদশা। লাহারহাট হইতে দিনার পর্যন্ত রাস্তাটির চলাচলেরঅনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরি ধারাবাহিকতায় ২৫/০৭/২০১৯সালে রাস্তাটি সম্প্রসারণসহ সংস্কার করার জন্য স্টিমিটের মাধ্যমে টেন্ডারের জন্য আর.এইচ.ডি. এস.ও. সাখাওয়াতহোসেন ফাইল স্বাক্ষর করেন কিন্তু সেখানে রাস্তার দুই পাশে জায়গা অধিগ্রহনের কোনফাইল মন্ত্রনালয়ে পাঠানের কোন প্রয়োজন মনে করেন নাই।

এদিকে ঠিকাদার রাস্তার কাজকরার জন্য আসলে তখন সে জানতে পারে রাস্তার জায়গা এখন পর্যন্ত অধিগ্রহন করাহয়নি। এতে করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। গোপন সূত্রে জানাযায় স্থানীয় বি.এন.পি.জামায়েতের কিছু অসাধু লোকদের হাত করে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকে বাধাগ্রস্তকরার জন্য অপকৌশল করছেন। উক্ত বিষয় আর.এইচ.ডি, এস.ও শাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসা করলেতিনি বলেন, এসও হিসাবে স্টিমিটে স্বাক্ষর করা আমার কাজ। অধিগ্রহনের ব্যপারে
জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি উদ্ধতন কর্মকর্তা ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারব নাএবং ৮বছর বরিশাল ডিভিশন সহ অডেল সম্পত্তির মালিক সরকারি চাকুরীজীবি হয়েরাস্তার মালামালের সাপ্লাই ও ম্যানন্টেনেজের কথা জানাতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়েযান। স্থানীয় জমির প্রকৃত মালিকগণ বলেন, রাস্তা আমাদের প্রয়োজন কিন্তুআর.এইচ.ডি’র গাফলতির কারনে আনুমানিক ২০ বছরেও অধিগ্রহন হচ্ছে না। তবেআমরা প্রকৃত জমির মালিকগণ রাস্তার কাজ বাধা গ্রস্ত করছি না। কিছু অসাধু লোকভূয়া মাইকিং এর মাধ্যমে আমাদের জড়িত করে অসৎ ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। সরকারের প্রতিআমাদের আহবান অতিদ্রæত জায়গা অধিগ্রহন করে আমাদের ক্ষতি পূরন যেন দেয়।* এদিকে লাহারহাট হইতে দিনার পর্যন্ত রাস্তাটির চলমান কাজ বন্ধ থাকার কারণে ধূলাবালি সহ সাধারণ পথ চারীদের দূর্ভোগের যেন অন্ত নেই। রাস্তা এক পাশ মাটি কাটার ফলেসমস্ত যান বাহন চলাচলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের
দূর্ঘটনা। বাস মালিক সমিতি, ট্রাক, অটো শ্রমিক ও হুন্ডা চালক সহ সাধারণমানুষদের দাবী দ্রæত রাস্তার কাজ শেষ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে মাঠে নামবে বলে খবরপাওয়া গেছে।

* উক্ত বিষয় আর.এইচ.ডি. এক্সইএন কে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, ভাই আমি নতুনযোগদান করেছি আগের ষ্টাফরা বিষয়টি ভালো করে জানেন। তবে বর্তমানে আমিঅধিগ্রহনের ফাইল প্রোসেসিং করে মন্ত্রনালয় পাঠিয়েছি। ২/৩দিনের মধ্যে সবারস্বাক্ষর হয়ে যাবে। আগামী জুনের ভিতর প্রকৃত মালিকগণ তাদের ক্ষতি পূরন পাবে।যাহারা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনেরআওতায় আনা হবে।

* উক্ত বিষয় ঠিকাদার মোঃ উজ্জল খানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ২৫/০৭/২০১৯ইংতারিখ থেকে ১৮মাসের মধ্যে চলমান কাজ শেষ করতে হবে। না হলে আমার বিরুদ্ধেবিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। অন্যদিকে কিছু বি.এন.পি জামায়েতের সক্রিয় কর্মীসরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকে এবং রাস্তাটি যে না হতে পারে তার অপকৌশলে ব্যস্ত এবংগত ০৭/০৩/২০২১ইং তারিখ রাতের আঁধারে আমার একটি ভেকু মেশিন পুড়িয়ে দেয়দুর্বিত্তরা এবং আমার ষ্ট্যাবদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে খুন যখমের হুমকি দেয় এবংরাস্তায় বাধা দেয়। তা হলে কি করে আমি ১৮ মাসের ভিতরে রাস্তার কাজ শেষ করব বলেন?

Top