এসএসসির নির্বাচনি পরীক্ষাও বাতিল - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসির নির্বাচনি পরীক্ষাও বাতিল


আলোকিত বার্তা:এবার এসএসসি ও সমমানের নির্বাচনি পরীক্ষাও বাতিল করা হলো। সাধারণত নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়। অকৃতকার্যরা বাদ পড়ে।কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে এই পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সব শিক্ষার্থীকেই এবার ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১ এপ্রিল।বিলম্ব ফি ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। আর বিলম্ব ফিসহ আবেদন করা যাবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০১৬ সাল থেকে বিগত চার বছরের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন,বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করে রাখা হচ্ছে।পাশাপাশি পরীক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছে বোর্ড। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হবে প্রকাশিত সিলেবাসের ওপর তখন থেকে অন্তত ৬০ কর্মদিবস ক্লাস নেওয়ার পর পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবারে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরীক্ষার ফরম পূরণের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিরিক্ত ফি আদায় অনেকটাই ওপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা শুরু হলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান জুন পর্যন্ত টিউশন ফি নিয়ে থাকে।

শিক্ষা বোর্ড এ ক্ষেত্রেও এবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যেহেতু ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তাই ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টিউশন ফি নেওয়া যাবে।কোনোক্রমেই তাদের কাছ থেকে ২০২১ সালের বেতন ও সেশন চার্জ আদায় করা যাবে না। আর বিলম্ব ফি ১০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।ফরম পূরণ ফি বাদে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফিসহ ১৯৭০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১৮৫০ টাকা নেওয়া যাবে।ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পৌঁছানোর তারিখ নির্ধারিত ছিল।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই পরীক্ষা সম্পর্কে বলেছেন, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এরপর ৬০ দিন ক্লাস হবে। তারপর ১৫ দিন বিরতি দিয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।এই হিসাবে জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নেওয়ার ধারণা তিনি দিয়েছেন। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে এবং ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি সঙ্গে আলাপকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড.এসএম গোলাম ফারুক জানিয়েছেন,করোনা পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলে অবশ্যই খোলার তারিখ পুনর্বিবেচনা করা হবে।তবে ৩০ মার্চ খুলবে- এই ঘোষণা এখনো বহাল আছে। খোলার তারিখ পেছানো হবে কিনা- সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি।প্রসঙ্গত, এই পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকার কাস্টমাইজড (পুনর্বিন্যাসকৃত) সিলেবাস প্রকাশ করেছে। সেটি অনুযায়ীই এবারের এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।এবার ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তারাও কাস্টমাইজড সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে পারবে।

বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি : বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ফরম পূরণসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তাদের ওয়েবসাইটে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফরম পূরণসংক্রান্ত তারিখগুলো সব বোর্ড অভিন্নভাবে প্রতিপালন করছে।এর মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য ও সম্ভাব্য তালিকা ওয়েবসাইটে ২৮ মার্চ প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে আগামী ১ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন।এতে বলা হয়, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ ২০২০ সালের পরীক্ষায় ফেল করা পরীক্ষার্থীদের ১ এপ্রিলের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে।পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তি ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Top