কাশিপুরের তহশিল অফিস লাগোয়া বহুতল দুটি ভবনের যতসব ময়লা পুকুরে নিক্ষেপ করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশিপুরের তহশিল অফিস লাগোয়া বহুতল দুটি ভবনের যতসব ময়লা পুকুরে নিক্ষেপ করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সিটির ২৯ নং ওয়ার্ডের কাশিপুরের তহশিল অফিস লাগোয়া হাতেম মীরার পুকুরে ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত ফেলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। সেখানকার দুটি বহুতল ভবনের যতসব ময়লা আবর্জনার স্তুপ পুকুরে নিক্ষেপ করায় স্থানীয় নারী-পুরুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই পুকুরে স্থানীয় শত শত মানুষ গোসল করেন। এমনকি পুকুর থেকে রান্না বান্নার পানি ব্যবহার করে আসছেন বসবাসরত শতাধিক পরিবার। স্থানীয়রা জানান, ভবন দুটির মধ্যে একটি ভবনের মালিক জনতা ব্যাংকে কর্মরত মাহমুদুর রহমান। আরেকটি ভবনের মালিক ব্যাংকে কর্মরত নোবেল। এই দুটি ভবন থেকে দিনরাত পুকুরে ময়লা ফেলে পুকুরের পানি দুষিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা ভবন দুটি মালিককে ময়লা-আবর্জনা পুকুরে ফেলতে নিষেধ করলেও তারা এসবে কোন কর্নপাত করছে না। শত শত মানুষ যেখানে ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে আসছে, সেই পুকুরে ময়লা প্রতিনিয়ত নানান কায়দায় ময়লা ফেলায় স্থানীয় নারী-পুরুষরা সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাহমুদুর রহমান ও নোবেলের মালিকানাধীন বহুতল ভবন থেকে এভাবে ময়লা ফেলায় দুষিত পানি মানুষ ব্যবহার করছেন। সরেজমিনে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ভবন মালিক মাহামুদুর রহমানের স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী বলেন, পুকুরে ময়লা ফেলার জন্য আমাকে সিটি কর্পোরেশন অনুমোতি দিয়েছে। ওই নারী দাম্ভিকতার সুরে বলেন, এ বিষয়টি সিটি মেয়রও জানেন। স্থানীয় মো: কামরুল হাসান লিটন, বাবুল সিকদার, এ্যাড. মো: দুলাল, মেহেদি হাসানসহ অসংখ্য মানুষ বিষয়টির প্রতিকারে পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল জেলা প্রশাসনের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের ভাষ্য, পুকুরের পানি কোনভাবেই দুষিত করা যাবে না। পুকুরে যারা ময়লা ফেলে দুষিত করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য বরিশাল সিটি মেয়র, সরকারের দায়িত্বশীল দপ্তর এবং বরিশাল নগরীর সচেতন মহলের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসব বিষয়ে ভবন মালিক মাহামুদুর রহমানের ব্যক্তিগত সেলফোনে আলাপ করলে তিনি পুকুরে ময়লা ফেলার বিষয়টি এড়িয়ে যান। অপর ভবন মালিক চকবাজার জনতা ব্যাংকে কর্মরত নোবেলও তার ভবন থেকে পুকুরে ময়লা বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে অফিসে এসে ব্যাংক কর্মকর্তা মাহামুদার রহমান এসব প্রসঙ্গে বলেন, সোমবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে রণাঙ্গণের মুখপত্র ‘দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ’ পত্রিকা অফিসে এসে সন্ত্রাসী স্টাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে হটটক করেন। এ যেনো নিজেকে মস্তবড় গুন্ডার মতো ব্যবহার! জনতা ব্যাংকে কর্মরত মাহামুদুর রহমান বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে অনেকটা মাতালের মত আচরন করেন।

ব্যাংকে কর্মরত মাহামুদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি আগৈলঝাড়ায় ইউনিয়নের রত্মপুর ছয় গ্রামের মজিবুর রহমান। এর বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে দৃর্ব্যব্যবহারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকে কর্মরত নোবেল বলেন, পুকুরে ময়লা আবর্জনা কিংবা অন্য কোন কিছুই নিক্ষেপ করা হচ্ছে না। বরংচ আমরা প্রতিনিয়ত ময়লাগুলো সিটির কর্পোরেশনের মাধ্যমে অপসারন করা হচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ময়লা অপসারনে সমস্য হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। এদিকে মাহামুদুর রহমান,নোবেলসহ সঙ্গে আসা আরো এক ব্যক্তি পত্রিকা অফিসে আসেন। কথোপকথনোর একপর্যায়ে মদ্যপায়ী মাহামুদুর রহমান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে ব্যাংকে কর্মরত শুভ সেনকে ফোন দিয়ে বলেন, পুকুরের ময়লা ফেলার বিষয়ে পত্রিকা অফিসে এসেছি। এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শুভ সেন বলেন, ইদানিং মাহামুদুর রহমানের চলাফেরা,আচার-আচারণ অনেকটা অস্বাভাবিক। এ বিষয়ে ব্যাংকে কর্মরত অন্যান্যদের নিয়ে মাহমুদুর রহমানের আচরনের বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। এবং তাকে শান্তভাবে চলাচল-কথাবার্তা বলার বিষয়ে কলিকরা সচেতন করেন।

Top