ভাই ভাতিজার ভয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে নলছিটি গোয়ালকাঠির শাহ আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ জমি নিয়ে বিরোধে আদালতে মামলা দায়ের করেও ভাই ভাতিজার ভয়ে বাড়িতে বসবাস করতে পারছেনা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার গোয়ালকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম সিকদার। তার আপন ভাই ভাতিজারা প্রতিনিয়ত খুন জখম করা সহ ঘর দুয়ার ভাংচুর করে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, শাহ আলম সিকদারের সাথে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তার আপন ভাই শাহীন সিকদার ও বাকে আলী সিকদারের সাথে বিরোধ রয়েছে। শাহীন ও বাকে আলী মিলে শাহ আলমকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ধান্দায় লিপ্ত রয়েছে। শাহ আলম তার স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে। তার অন্যান্য ছেলেরা বিভিন্ন এলাকায় চাকুরী করে।তিনি ভাই ভাতিজাদের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করে। তার ভাই ভাতিজারা লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য এবং ভাতিজারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এ সুযোগে তাকে তার ভাইরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। তিনি ওয়ারিশ হিসেবে পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল করতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এনিয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেও তেমন ফল পাননি। তার ভাইয়েরা গায়ের জোড়ে চেয়ারম্যান মেম্বরদের ডাকে সাড়া দেননি। উল্টো তার ঘর ভাংচুর করে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এতে জীবন নাশের ভয়ে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি তার দুই ভাই শাহীন সিকদার ও বাকে আলী সিকদার এবং শাহীন সিকদারের তিন ছেলে হাফিজুল ইসলাম রনি ( ২৫), রাসেল সিকদার (৩০), রাহাদ সিকদার ও বাকে আলী সিকদারের ছেলে সোহাগ সিকদারকে অভিযুক্ত করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, অভিযুক্তরা ক্ষেতের ফসল কাটিয়া নেয়ার পরিকল্পনা করে।
একথা জানতে পেরে তিনি প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৯ টায় কুমারখালি বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌছলে অভিযুক্তরা গাছ কাটা দাও, বাশের লাঠি নিয়ে ঘেরাও করে ধরে। তিনি কারণ জানতে চাইলে তাকে অন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় এবং মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। তিনি জীবনের ভয়ে ডাক চিতকার দিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা আটকিয়ে আত্মরক্ষা করেন। অন্যান্য লোকজন ছুটে আসলে তার ভাই ভাতিজারা পরবর্তীতে সুযোগ পেলে হাত পা ভেংগে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এধরণের অভিযোগ দেয়া হলে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। অভিযুক্তরা প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন খাতে ঘুরানোর প্রচেষ্টায় একই সালের ২৯ নভেম্বর আদালতে বর্ননা দাখিল করেন। বর্ননায় তারা কেহ গাড়ির চালক দাবি করে কেহ কোম্পানির চাকুরী করার দাবি করে। আদালতকে ভুল বোঝাতে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিওর নামে প্রত্যয়ন পত্র তৈরি করে আদালতে জমা দেন। প্রত্যয়ন পত্রে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। যাতে কোন সিলও নেই। শুক্রবার সকল ধরনের অফিস আদালত বন্ধ থাকলেও তারা চাকুরিতে ছিল বলে দাবি করে মিথ্যা ও মনগড়া বর্ননা দেয়। আদালত আইনানুসারে তাদের বর্ননা গ্রহণ করলেও কোন ধরনের আদেশ দেন নাই। এ সুযোগে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়। বাদীর ছেলেরা বাড়িতে আসলে তাদের খুন জখম করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বেড়ায়। এতে শাহ আলমের ছেলেরা বাড়িতে যেতে পারছেনা। বাদী শাহ আলমও নিজ ভাই ভাতিজাদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তায় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারের বাড়ি ও আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এঘটনার সত্যতা বলে জানায় একই এলাকার বাসিন্দা জানে আলম সিকদার, ইব্রাহীম হাওলাদার ও খোকন হাওলাদার। এব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীন সিকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন।