সাংবাদিক রফিক কে নির্যাতনের ঘটনায় এস আই আকরাম ধরাছোঁয়ার বাইরে, বিচারের দাবীতে সারা দেশে মানববন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক রফিক কে নির্যাতনের ঘটনায় এস আই আকরাম ধরাছোঁয়ার বাইরে, বিচারের দাবীতে সারা দেশে মানববন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে


আলোকিত বার্তা:ময়মনসিংহের সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক কে বিগত ২০১৮ সনের ২৯ নভেম্বর রাতে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি কার্যালয়ে। রাতভর সাংবাদিক রফিকের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার অপরাধ ছিল মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, ডিবি পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে ডকুমেন্টারি কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করা। পরে এসআই আকরাম হোসেনসহ কয়েকজন তাকে ধরে তাদের হেফাজতে নিয়ে চোখ বেদে বিদ্যুৎ শক, ১৬ ঘন্টা কোন খাবার না দিয়ে মানসিক কষ্ট দেওয়া,স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়া। সম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক রফিককে নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী সাংবাদিক মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এস আই আকরাম হোসেন রয়ে গেছেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাংবাদিকদের এই ক্ষোভ বিক্ষোভের পরিণত হয়ে যেতে পারে সারাদেশব্যাপী। নজিরবিহীন একের পর এক পুলিশি হয়রানির শিকার সাংবাদিকরা এমন ঘটনায় প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে সারা দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। আগামী শনিবার বরিশালে সাংবাদিকদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এমন নির্যাতনের করুন কাহিনী শুনে আমরা হতবাক, এমন একজন ভাল মানের সাংবাদিক যে নির্যাতন করেছে তা আমরা কি ভাবে মেনে নিবো? এর পেছনে বহু কাহিনী রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও তার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে এসআই আকরাম হোসেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা নিয়ে তাকে পঙ্গু করার পরিকল্পনা ছিল? ভাগ্যগুণে আল্লাহতালা তাকে বাঁচিয়ে দিলেন।

সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক কে নির্যাতনের কারণে আজ তিনি চোখে ঝাপসা দেখেন এবং তার শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দিয়েছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে অভিযোগ করেছেন। তার উপর নির্যাতনের কারণে সারাদেশে সাংবাদিকরা এসআই আকরাম হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ, কর্মসূচি মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতনকারী এসআই আকরাম হোসেন নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানায় বর্তমানে কর্মরত। তাকে দ্রুত প্রত্যাহার করে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান সারাদেশের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সহ সকল গণমাধ্যম কর্মীরা।

Top