বাবুগঞ্জে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পরিবারতন্ত্রকে ব্যবহার করে অনিয়োম কে নিয়োমে পরিনত করে অনৈতিক ভাবে অর্থ আত্মসাৎ
এবি সিদ্দীক ভুইয়া:বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পরিবারতন্ত্রকে ব্যবহার করে অনিয়োম কে নিয়োমে পরিনত করে অনৈতিক বাবে অর্থ আত্মসাৎ ।তথ্য সুত্রে জানাযায়,বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার আইচার হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান।(জাহিদুর রহমানের স্ত্রী) নিলিমা আক্তার লামচর ক্ষুদ্রকাঠি সুগন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।(নিলিমার ভাই)কুমারী আর পিঠ জাহিদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেনসহ উভয়ে কে মেরামত/সংস্কার/জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে( প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা)তিন টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও বিদ্যালয়ের কোন কাজ না করিয়েই ২০২০ সালে টাকা উত্তোলন করেন।গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসাবে চাকুরীবিধি অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর একটি মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসাবে উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু সরকারি নিয়ম লংঘন করে ৩ শিক্ষক প্রতি বছর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করেন।তথ্য সূত্রে আরো জানাযায়, ক্ষুদ্রকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহম্মেদ। দক্ষিন ভূতেরদিয়া নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান।দরিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেমসহ তারা উভায়ে মিলিত হয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি নিয়ম লংঘন করে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ২০১৭-২০১৮-২০২০ সালে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।
তথ্য সূত্রে আরো জানাযায়,মধ্য বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঃরাজ্জাক(বাচ্চু) তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার কাশিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।তারা উভায়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি নিয়ম লংঘন করে শিক্ষাভাতা(৬৬ হাজার ৬শত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের একাউন্টের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন।তারা বলেন শিক্ষা অফিসের অসর্তকতার কারনে এমনটা হয়েছে।মেরামত/সংস্কার/শিক্ষাভাতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন আপনার সাথে দেখা করব।বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে শিক্ষকদের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এরিয়ে যান এবং মতামত দিতে অনিহা প্রকাশ করে অজুহাত দিয়ে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আকবর কবির বলেন অনৈতিক ভাবে সরকারি নিয়ম লংঘন করে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচরে আসলে,তাদেকে অফিস কর্তৃক তলব করা হয়েছে। সরকারি নিদের্শনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।