বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা গবেষণাগারে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান ড. সাগরের যোগদান - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা গবেষণাগারে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান ড. সাগরের যোগদান


আলোকিত বার্তা:বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা গবেষণাগার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের ন্যাশনাল ইনিস্টটিউট অব হেলথে (এনআইএইচ) বাংলাদেশের কৃতি সন্তান ড. আব্দুল কাদের সাগর “বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফেলো” হিসেবে গত ২৯শে মার্চ যোগদান করেছেন।দিনাজপুর শহরের পাক-পাহাড়পুর নিবাসী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট এবং জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন অ্যাড. এম এ মজিদ ও কামরুন নাহার জেসমিনের একমাত্র সন্তান ড. আব্দুল কাদের সাগর বিশ্বের ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-মেডিসন থেকে ২০১৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর “বয়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে খুব অল্প সময়ে ও স্বল্প মূল্যে দূরারোগ্য মরণঘাতী রোগের জীবাণু মানব দেহের কোষ থেকে উদঘাটন করার পদ্ধতি আবিষ্কার করাই ছিল ড. সাগরের পিএইচডি গবেষণার মূল বিষয়। ড. আব্দুল কাদের সাগরের অসামান্য মেধা ও অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের সেরা কয়েকটি ইউনিভার্সিটি তাকে সরাসরি বায়োমেডিক্যাল বিষয়ে “পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট” হিসেবে চাকুরির অফার দিয়েছিল। আবার একই সময়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা গবেষণাগার ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) ড. আব্দুল কাদের সাগরকে “বায়োমেডিক্যাল রিসার্স ফেলো” হিসেবে নিয়োগ দিলে সেখানে গবেষণার পরিধি বিশাল হওয়ায় তিনি এনআইএইচ-এ যোগদান করেন।

ড. আব্দুল কাদের সাগর ২০০৩সালে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৫ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১০ সালে বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিষয়ে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ২০১০ সালের মার্চ মাসে ঢাকাস্হ দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসন কোম্পানির বাংলাদেশ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই “এ্যাডভান্সড রিসার্চার” হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির স্কলারশিপ পেয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন স্টেটের রাজধানী মেডিসনে অবস্হিত ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন -মেডিসনে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি পড়া ও গবেষণা শুরু করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।শৈশব থেকেই আব্দুল কাদের সাগর অত্যন্ত সদালাপি,দয়ালু,সমাজসেবী ও পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে অতি সুপরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে পিএইচডি গবেষণাকালীন সময়ে বাংলাদেশীদের সাহায্য, সহযোগিতা ও কল্যাণে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠান “বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন” এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ড. আব্দুল কাদের সাগর।

Top