আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রতিপক্ষের হামলায় চার ছাত্রলীগ কর্মী আহত
রফিকুল ইসলাম:আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রতিপক্ষের হামলায় চার ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই ববির আবাসিক হলে মোহাম্মদ শাহজালাল নামে এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঘটা এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সভা ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ববির শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট মো. ইব্রাহিম মোল্লা।নির্যাতনের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহজালাল জানান,ঘটনার আগ মুহূর্তে তিনি শেরে বাংলা হলের ৪০১৬ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত রুমের ভেতরে ঢুকেন এবং জরুরি কথা আছে বলে তাকে হলের ১০০১ নম্বর রুমে নিয়ে যান। ওই রুমের ভেতরের ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তার মুখ বেঁধে মারপিট ও নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন শাহজালাল।শাহাজালালের দাবি তখন ওইরুমে চারজন পরিচিতসহ একই বয়সের অপরিচিত আরও কয়েকজন হাতে রড ও ধারলো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন। যাদের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চলার এক ফাঁকে তিনি (শাহজালাল) দৌড়ে পালিয়ে ৪০১৪ নম্বর রুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে অভিযুক্তরা শাহজালালকে আনতে গেলে অপর শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দেন।
শাহজালাল জানান,মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের কক্ষ পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমীদ জামান নাভিদ ও সাঈদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে সাঈদ গ্রুপের চারজন আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তিও হন। এর জের ধরেই সাঈদের পক্ষের লোকজন তার ওপর নির্যাতন চালায়।এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন শাহাজালের সহপাঠিরা।
শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট মো. ইব্রাহিম মোল্লা জানান,বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বুধবার দিনের বেলা এ বিষয়ে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মঙ্গলবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী ফাতাউর রাফি, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জাহিদ ওরফে জিদান, ফারহান শাহরিয়ার ও উচ্ছাস আহত হন। যাদের মধ্যে তিন জনকে বিকেলেই শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান,আধিপত্য কিংবা ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের কোনো বিষয় নেই এখানে। আবাসিক হলের সিটকে কেন্দ্র করে দু’টি সেশনের ছাত্রদের মধ্যে ঝামেলা।যে কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।