বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডে প্রায় ২০ হাজার কুকুরকে ভ্যাকসিন (টিকা) দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম:জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির আওতায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডে প্রায় ২০ হাজার কুকুরকে ভ্যাকসিন (টিকা) দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এ লক্ষ্যে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে নগরে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণার চালানো হচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে।বরিশাল সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী নগরে ৬ হাজারের মতো কুকুর ছিলো। এখন এর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০ হাজারের মতো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে ২০ হাজার কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামছে বরিশাল সিটি করপোরেশন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আগামী ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে। টিকা দেওয়া শেষে কুকুরগুলোর শরীরে একধরনের অস্থায়ী রং দিয়ে দেওয়া হবে। যাতে কোনো কুকুর ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে বাদ না যায়।নগরের ৩০ ওয়ার্ডে একযোগে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ে ১৫০ সেবক কাজ করবে। যারমধ্যে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ ৬০ জন ডক ক্যাচার, সিটি করপোরেশনের ৩০ জন ডকক্যাচার, ৩০ জন প্রশিক্ষিত টিকাদানকারী, ৩০ জন ডাটা কালেক্টর, ৩০ জন ভ্যান পোর্টার ও চার জন মনিটরিং কর্মকর্তা থাকবে।
কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম বলেন,২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরইমধ্যে সিটি করপোশেনের উদ্যোগে রিসোর্স পার্সনদের নিয়ে একটি অবহিতকরণ সভা পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা চাই বরিশাল নগরকে জলাতঙ্কমুক্ত করতে নগরবাসী কুকুর টিকাদান কর্মসূচিকে সহায়তা করুক। তাই এরইমধ্যে নগরে প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।