অবলম্বন যখন পুলিশ ! ত্রিশালে ধর্ষিতাকে হয়রানির অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি:ধর্ষণের শিকার হয়ে গৃহবধূ দ্বারস্থ হয়েছিলেন থানায় । থানা পুলিশ মামলা রেকর্ডের পর ঘটনার সত্যতা পায় । মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ আদালতে চার্জশিট প্রদান করলেও আসামি ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় । এদিকে সেই থানা পুলিশ ধর্ষিতার বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা রেকর্ড করেছে । মামলাটিতে আসামি ধর্ষক প্রধান স্বাক্ষী অর্থাৎ এক নম্বর স্বাক্ষী ।ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ।অভিযোগে প্রকাশ, ত্রিশালের বালিপাড়াস্থ বিয়ারা গ্রামের গৃহবধূ শিরিনা আক্তার সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হন । তৎপ্রেক্ষিতে ধর্ষক স্থানীয় আওলাদ হোসেনকে পিতা- শামসুদ্দিন আসামি করে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । থানা পুলিশ মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন ।
এদিকে মামলাটির ধর্ষক আসামি আওলাদ হোসেন শিরিনা আক্তারকে মামলাটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে । এরই ধারাবাহিকতায় শিরিনার বাড়ি ঘরে হামলা, তার বাবা- মাকে মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে । এক পর্যায়ে কুটকৌশলের অবলম্বন নেয় আওলাদ । স্থানীয় স্বামী পরিত্যক্তা আকলিমা আক্তার নামের এক নারীকে দিয়ে শিরিনা এবং তার বৃদ্ধ বাবা- মা এবং পরিবারের ছয় জনের বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করে । মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী হয় ধর্ষক আওলাদ হোসেন ।এদিকে ধর্ষক আওলাদ গ্রেপ্তার না হওয়া এবং ধর্ষক কর্তৃক হামলা, হয়রানির সুরাহা না পেয়ে ভূক্তভোগী শিরিনা আক্তার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । এতে ক্ষুব্ধ হয়েই পুলিশ ধর্ষনের শিকার শিরিনার নামে মামলা করেছে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীর এব্যাপারে আকলিমার সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমাকে যখন মারধর করা হয় তখন আওলাদ সামনে ছিল ।থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাইয়ুম জানান , আকলিমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষিত শিরিনার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে । ওসির নির্দেশে আমি মামলাটির তদন্ত করছি ।
থানার ওসি আজিজুর রহমানের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি ।