মেগারচরে নারী নির্যাতন ও ঘড় পোরানোর মধ্যে দিয়ে চর দখলের উৎসব - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেগারচরে নারী নির্যাতন ও ঘড় পোরানোর মধ্যে দিয়ে চর দখলের উৎসব


স্টাফ রিপোর্টারঃবরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চরদখলকে কেন্দ্র করে নারী নির্যাতন ও ঘড় পোড়ানোর উৎসব চলছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গৃহবধুদের জোরপূর্বক বসত ঘড় থেকে তুলে নিয়ে গন ধর্ষনের পর এলাকা ছারতে বাধ্য করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মিরা। ইতিমধ্যে প্রায় কয়েকটি অসহায় পরিবার গ্রাম ছেরে নোয়াখালী জেলায় গিয়ে আশ্রায় নিয়েছে বলে জানান মানিক সিকদার, দেলোয়ারসহ অর্ধশত বাসিন্দারা। গত দুই দিন পূর্বে মেগা চরের বাসিন্দা কামাল হাজারির স্ত্রীকে নিয়ে নির্যাতনের ৪ ঘন্টা পরে ফিরৎ দেন বলে অভিযোগ করেন হিরোন এবং পাখি নামে এক নারী। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রব বাঘার বসত ঘড় পুরিয়ে দেয় স্থানীয় ঐ অভিযুক্তরা। তাছারাও সেলিম সরদারের পুত্র বাপ্পি সরদারের ঘড় পুরে ফেলা হয়েছে। সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ খবির সিকদারের ঘড়টি পুরে ফেলা হয়েছে। ভুক্তভোগী খবির সিকদার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন তালুকদারের নির্দেশে ইউপি সদস্য শামছুল হক, কৃষ্ণ মেম্বার, ইউপি সদস্য জয়নাল, রহমান, আলাউদ্দিন, নাছির মাঝি, জাকির হাং, খোরশেদ, নুরু বেপারীসহ সাঙ্গপাঙ্গ মিলিত হয়ে উক্ত চরদখলে নেমেছেন। উক্ত চর দখলে অভিযুক্তরা তাদের পরিচয় দিতেন জমিদার স্টাটের লোক। জানা গেছে, উক্ত চরে খতিয়ান নং -৩। ১৮,১,৩, ৩০, ৩৭ নং দাগের রেকর্ডীয় মালিক রশিদ মাঝি, আবুল কালাম, আলতাফ সরদার, আজিজুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, ইব্রাহিম রাড়ী, দুলাল হাং, অহিদ সরদার, আলমগীর হোসেন।

উক্ত খতিয়ানে জমির পরিমান ৯৭ একর ৫২ শতাংশ। জানা যায়, জোয়ার খালী, চর বুলা, চরমেগা মৌজায় ৭০ টি খতিয়ান রয়েছে । যার মধ্যে ৪৫ খতিয়ানের মালিক রশিদ মাঝি সহ তার দলবলরা। কিন্তু অভিযুক্তরা একটি খতিয়ানের মালিক নেই বলে জানান স্থানীয়রা। রশিদ মাঝি বলেন, ৭০ টি খতিয়ানের ভিতরে ৪৫ টি খতিয়ানের মালিকরা তাদের জমি চাষাবাদ করে আসছেন। এবছর উক্ত অভিযুক্ত গায়ের জোরে বিশেষ এক বাহুবলের ইশারায় জমিগুলো দখলে নেয়ার পায়তারা করছেন বলে জানান আজিজুর রহমান, জয়নাল আবেদীনসহ আরো অনেকে। রশিদ মাঝি আমরা রেকর্ডীয় মালিকানা পরিমান ৪ শত ৪৬ শতাংশ জমি। যাহা দখলে নিতে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন তালুকদারসহ সকলে বিভিন্ন শরযন্ত চালাচ্ছেন রেকর্ডীয় মালিকদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন তালুকদারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, রশিদ মাঝি ১ হাজার একর জমি দখল করে খায়। ইউপি সদস্য কৃষ্ণকে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত রিসিভ করেনী। ইউপি সদস্য জয়নাল বলেন, জমি সরকারী । তিনি বলেন, রেকর্ডীয় জমি নদীতে গেলে তাহা সরকারী জমি হয়ে যায়। মেহেন্দীগঞ্জ এডিশনাল এসপি নাইম হোসেন, সার্কেল এসপি সুকুমার বিশ্বাস মেহেন্দীগঞ্জ ওসি ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন।

Top