পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে পাঁচ ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব-৮। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে পাঁচ ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব-৮।


মো.রফিকুল ইসলাম:পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে পাঁচ ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব-৮।সোমবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-৮ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ভান্ডারিয়া পৌরসভা এলাকায় কয়েকজন প্রতারক নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।অভিযানে ওই এলাকার জনতা ডেন্টাল কেয়ারের ফাইজুল হক রানা, মডার্ন ডেন্টাল কেয়ারের বাবুল হোসেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশ, জসিম উদ্দিন শাহীন এবং শামীম আকন ও শামীম আকনের ক্লিনিক ভবন মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদারকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, এই প্রতারকরা সহজ সরল মানুষের কাছে নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে আসছে যা খুবই বিপজ্জনক। তারা তাদের স্বপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে তাদের দোষ স্বীকার করে।পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইয়াসিন খন্দকার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক শামীম আকনকে দুই বছর, ফাইজুল হক রানাকে ছয় মাস, মহিউদ্দিন আহম্মেদ পলাশকে ছয় মাস, জসিম উদ্দিন শাহীনকে চার মাস ও বাবুল হোসেনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।

পাশাপাশি আটক বাড়ির মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদারকে শামীম আকনকে বাসা ভাড়া দিয়ে প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও পাঁচজন ভুয়া ডাক্তারের পাঁচটি চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়।অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. এ.আইচ.এম. ফাহাদ।জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম আকন বহুদিন ধরে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানোর মত স্পর্শকাতর বিষয়ে ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে তিনি গাছগাছালি ছাড়াও গরুর মূত্র চিকিৎসা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে এবং ইট দিয়ে ভাঙা হাত বা পায়ে টানা দেয়।কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরেও তিনি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রোগের বিপজ্জনক চিকিৎসা করেতেন তিনি। তার ক্লিনিক থেকে পাঁচজন রোগীকে ভান্ডারিয়াউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। বাকি চার ভুয়া ডাক্তার অবৈধভাবে দাঁতের চিকিৎসা দিতেন।

Top