তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেঁটে দিয়েছে স্ত্রী - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেঁটে দিয়েছে স্ত্রী


মল্লিক মো.জামাল,বরগুনা প্রতিনিধি।বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেঁটে দিয়েছে স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটার দিকে। আংশকাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থাণীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামের আঃ গনি তালকুদারের পুত্র ও আগাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহতাব (৩২) সাথে একই এলাকার আগাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামে মেয়ে আয়েশা বেগম (২৬) সাথে ২০০৬ সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ১৩ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের কোন সন্তানাদি না হওয়ায় তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি ও পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রী বাড়ীতে রাত্রি যাপন করেন। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে স্বামী মাহাতাব তার পুরুষাঙ্গে প্রচুর ব্যথা অনুভব করলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পায় তার পড়নের কাপড় রক্তে ভেজা। তখন স্ত্রীকে ডেকে না পেয়ে তিনি ডাক চিৎকার দিতে থাকেন। তার ডাক চিৎকারে পার্শ্ববতর্ী বাড়ীর লোকজন এসে দেখেন শিক্ষক মাহতাবের পুরুষাঙ্গ কঁাটা ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ সময় মাহাতাবের স্ত্রীকে ঘরে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর ধারনা স্ত্রী আয়েশা বেগম স্বামীকে অচেতন করে ঘুমের মধ্যে তার পুরুষাঙ্গ কেঁটে বাড়ী থেকে বের হয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে একটি দঁাড়ালো চাকু ও পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ দেখেন স্বজন ও স্থাণীয়রা।

আহত অবস্থায় স্বজনরা ও স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে- বাংলা- মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।মাহাতাবের প্রতিবেশী সোহরাব মিয়া বলেন, শিক্ষক মাহাতাবের স্ত্রী আয়েশা বেগম এ ঘটনার সাথে জড়িত। ঘটনার দিন তারা বাড়ীতে একই সাথে রাত্রি যাপন করলেও ঘটনার সময় তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি।স্ত্রী আয়েশা বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীর সাথে তার বিদ্যালয়ের একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি সে মেয়ের অন্যাত্র বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের পরকিয়া সম্পর্ক এখনো আছে। সে কারনে আমি সন্তান নিতে চাইলেও সে সন্তান নিতে চায় না। যা নিয়ে প্রায়ই আমাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগে থাকে। এ ঘটনা নিয়ে রাতে স্বামী মাহাতাবের সাথে আমার কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। রাতে সে আমাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এরপর আমি আমার বাপের বাড়ী চলে যাই। সকালে তার পুরুষাঙ্গ কেঁটে ফেলার সংবাদ শুনেছি।

তালতলী থানার ওসি মোঃ শাহীনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

Top