নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পুরুষদের সম্পৃক্ত করার তাগিদ - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পুরুষদের সম্পৃক্ত করার তাগিদ


আলোকিত বার্তা:বরিশালেও দিন দিন বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা। গত বছরের তুলনায়এ বছর নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার অভিযোগ এসেছে সাড়ে তিন গুণ।দেশের সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে এই সহিংসতানির্মূল করা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা বন্ধেপুরুষ ও কিশোরদের সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বরিশালে অনুষ্ঠিত একসভার বক্তারা যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশিপাঠ্যক্রমে যৌন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। প্রতীকি যুবসংসদ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার আয়োজনে গণমাধ্যম কর্মীদেরনিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মিডিয়া মোবিলাইজেশন’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের বক্তারাএসব কথা বলেছেন। প্রোমোটিং জেন্ডার জাস্টিস প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক ওএনগেজিং মেন অ্যান্ড বয়েজ নেটওর্য়াকের সহযোগিতায় এই সভাটিঅনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতেঅনুষ্ঠিত নারী ও শিশুদের প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষও কিশোরদের সম্পৃক্ততা বিষয়ক মিডিয়া মোবিলাইজেশনে প্রতীকি যুবসংসদের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলামের (ফিরোজ মোস্তফা) সভাপতিত্বেআলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্বপ্রতিবেদক এম. জসীম উদ্দীন,বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেকসভাপতি নজরুল বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা ব্র্যাকের আঞ্চলিকব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) খান ওমর ফারুক, জেলা সমন্বয়কারী রিপন চন্দ্র মন্ডল,জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো:সেলিম মোল্লা, প্রতীকি যুব সংসদের গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালকমুশফিকুর রহমান সৌরভ প্রমুখ।জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়ায় কর্মরত ২২জন গণমাধ্যমকর্মী এই মোবিলাইজেশনে অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানের মূলধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রতীকি যুব সংসদের নির্বাহী প্রধান সোহানুররহমান। তথ্যপত্র উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সা¤প্রতিককালে নারীর প্রতিসহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে বিস্তরআলোচনা শুরু হয়েছে। পুরুষ ও কিশোরকে কীভাবে আরও সম্পৃক্ত করা যায়,তা নিয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাও তাদেরকাজকর্মে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষের ইতিবাচকভূমিকার ওপর জোর দিচ্ছে। এটা আজ প্রমাণিত, পুরুষকে বেশি সম্পৃক্তকরতে পারলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের কাজ আরও বেগবান হতেপারে। তাই সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এবং নারী ও শিশুদেরপ্রতি সহিংসতা বন্ধে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) -তে পুরুষ ওতরুণদের সম্পৃক্ত করে নারী নির্যাতন প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এখনদরকার সেই নীতিমালা ও যথাযথ কর্মপরিকল্পনার আলোকে এর সঠিকবাস্তবায়ন। মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন শেষে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতাপ্রতিরোধে সচেততনতামূলক ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। মুক্ত আলোচনাপর্বে বক্তারা জেন্ডরভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে মিডিয়ার ভূমিকা,প্রতিবন্ধকতা ও করনীয়ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন। এসময়বক্তারা বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা এখন সমাজে নেই বললেই চলে। নারীরপ্রতি সহিংসতা রোধেও গণমাধ্যম গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার রিপোটিংয়ের ভাষা ও ছবি সংবেদনশীলভাবেব্যবহার করার অঙ্গীকার করে বক্তারা বলেন যথাযথ পরিসংখ্যান ও প্রশাসনের কাছথেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশে তারাপ্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। এ অবস্থার উত্তরণে প্রশাসন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।সুপারিশমালায় তারা বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতকরণএবং পাঠ্যক্রমে যৌন শিক্ষা অন্তভুক্তকরণ, সকল কার্যক্রমে তরুণ সম্প্রদায়েরঅন্তভুক্তি, রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক কর্মসূচি গ্রহণ,নারীদের কর্মসংস্থান ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং জেন্ডার সংবেদনশীলঅনুষ্ঠান মিডিয়ায় প্রচারের সুপারিশ জানানো হয়।

Top