সাহেবের হাট কলেজের এইচ এসসি পরিক্ষার্থীদের থেকে গলাকাটা অর্থ আদায় করা হচ্ছে। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাহেবের হাট কলেজের এইচ এসসি পরিক্ষার্থীদের থেকে গলাকাটা অর্থ আদায় করা হচ্ছে।


মোঃফেরদাউস:বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবের হাট সংলগ্ন অবস্থিত শহীদ জিয়াউর রহমান (ডিগ্রী) কলেজের এইচ এসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গলাকাটা অর্থ আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। সরকারি নীয়মনীতিকে উপেক্ষা করে সাহেবের হাট জিয়াউর রহমান (ডিগ্রী) কলেজের শিক্ষার্থীদের থেকে মোটাতাজা অংকের অর্থ আদায় করায় অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে উঠেছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা অভিযোগে মামলার হুমকি প্রদান করছেন দুর্নিবাজ অধাক্ষ মোঃ মশিউর রহমান। পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গলাকাটা অর্থ হালাল করতে মশিউর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের কলেজ কম্পাউন্ডে প্রবেশ নিষেধ। এদিকে কলেজ কমিটির সদস্য মোঃ আলতাব হোসেন বাবু মিয়া প্রতিবাদ করলে অন্য সদস্য আনোয়ার হোসেন লাভূ তাদেরকে চুপ রাখতে বেপরোয়া চেষ্টায় সফল হচ্ছেন। গতকাল কলেজে গেলে দেখা যায়, এইচ এসসি পরিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের পূর্বে কোচিং বাবদ ২০০০ হাজার টাকা করে আদায় করছেন। কোচিং বাবদ টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে একটি রশিদ ব্যবহার করা হচ্ছে। যাহাতে শহিদ জিয়াউর রহমান কলেজের কোনো প্রকার নাম বা সিল ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠাতা এ্যাডঃ মোঃ মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আমি কিছু জানিনা – আমাকে কিছু জানানো হয়না। তিনি বলেন, কোচিং বাবদ ২০০০ টাকা নিলে সেটা দুর্নিতী। আপনাদের কাজ সেটা তুলে ধরেন সে যে হোক। অধাক্ষ মশিউর রহমান বলেন, পত্রিকায় লিখলে সাংবাদিকের নামে মামলা দিবো। সদস্য আলতাব মাষ্টার বলেন, অনেক আগে মিটিংয়ে কি কি কথা হয়েছে তাহা আমার মনে নেই। কোচিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার ছেলের ব্যাপারেও দুই হাজার টাকা দিয়েছি। শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, কতজন এবছর পরিক্ষা দেন তাহা আমি জানি না।

কলেজ কমিটির সদস্য মোঃ কবির মিয়া বলেন, কোচিং বাবত টাকা নেয় কিনা তাহা আমি জানিনা। কতজন পরিক্ষার্থী তাও জানি না। এবছর এইচ এসসি পরিক্ষায় রেগুলার ও কেজুয়াল মিলিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রার্থমিক পরিক্ষায় অংশ নিয়েছেন মোট ২৫৮ জন শিক্ষার্থী। কমিটির সদস্য আলতাব হোসেন বাবু বলেন, তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ এবং সিধান্ত ছারাই অধক্ষ্য মশিউর রহমান সকল কাজ চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, কোচিং বাবত দুইহাজার টাকা নিলে সেটা দুর্নিতী। শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের সদস্য ইসরাইল পন্ডিত বলেন, মিটিংয়ে আমি ছিলাম না, আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে কোচিং বাবত ২০০০ টাকা তুলবে। সদস্য আঃ ছালাম রাড়ীকে এব্যাপারে তার সেল ফোনে ফোন করা হলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত রিসিভ করেননি। শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মোঃ আবু হানিফ বলেন, আমি কলেজের কিছুই জানিনা। সভাপতি বলেন, কোচিং ফি নেওয়ার অনুমতি নেই। তিনি বলেন, অধক্ষ্যর একক সিধান্ততেই কোচিং বাবত ২০০০ টাকা নিচ্ছে, যেটা সম্পূর্ন দুর্নিতী। সভাপতি আরো বলেন, আমি কোচিং বাবত টাকার খবর আপনার কাছেই শুনলাম। এব্যাপারে ১০৬ নাম্বারে অবহিত করা হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ অজিয়র রহমান বলেন, দরখাস্ত দেন ব্যবস্থা গ্রহন করিবো।

Top