ছাত্রলীগের হামলায় আবারও উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগের হামলায় আবারও উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।


রফিকুল ইসলাম:ছাত্রলীগের হামলায় আবারও উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।গত রোববার রাতে আধিপত্য বিস্তার করা‌কে কেন্দ্র ক‌রে ছাত্রলীগের ‘সিফাত-রুমান’ ও ‘ইমন-জিসান’ দুই গ্রু‌পের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জের ধরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ) দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আন্তঃবিভাগীয় ভলিবল প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শিক্ষকদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে শহীদ মিনারের পিছনে ইমন-জিসান গ্রুপের ২ ছাত্রলীগ কর্মীকে লাঠি সোটা দিয়ে পিটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।আহত দুই শিক্ষার্থী হলো- বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ ও আসাদুজ্জামান এ্যনি।

এই ঘটনায় জীবননাশের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই দুই শিক্ষার্থী।রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ জানান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল সামাদ শান্ত, আরাবি ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়াস ও আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সামনে আমার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে এবং আমাকে গুরুতরভাবে আহত করে। তারা সবাই ‘সিফাত- রুমান’গ্রুপের ক্যাডার।অভিযুক্ত ‘সিফাত- রুমান’গ্রুপের আল সামাদ শান্ত বলেন,গতকাল বিকালে বন্ধু সজলকে একা পেয়ে মারধর করেছে তারা। রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ ভাইকে শহীদ মিনারে বসে জিজ্ঞাস করেছি মাত্র। এর মধ্যে এ্যনি এসে আমাদের মারা শুরু করলে আমরা প্রতিহত করি।এ বিষয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বলেন,ভাই আমার উপর হামলা হওয়ার পর ক্যাম্পাস উত্তপ্ত।আমাকে হামলার প্রতিবাদে ওরা হামলা করতে পারে।কিন্তু এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমি বিকেলে ক্যাম্পাসে গিয়ে সবাইকে শান্ত থাকতে বরেছি।

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান সঞ্জয় সরকারআলোকিত বার্তাকে বলেন,আমি চিৎকার শুনে ওখানে দৌঁড়ে যাই।পরে আমাকে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এবং এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।তিনি বলেন,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন রাজনৈতিক দলের কমিটি নেই। তাই অনেকেই নিজেকে নেতা দাবী করে ব্যাক্তিগত ফয়দা লুটেন।তাই অতিদ্রুত এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহবান জানান তিনি।

Top