লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদের আশ্বাসে মির্জাগঞ্জে আওয়ামীলীগনেতার ফোন-আলাপ ফাঁস
মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি;পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগেরকমিটিতে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সহ-সভাপতি’র পদ দেওয়ার আশ্বাসেরফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে। নব নির্বাচিত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগেরসাধারন সম্পাদক মোঃ আবদুল লতিফ মৃধা ও সহ-সভাপতি পদ প্রত্যাশী মোঃআবদুল বারেক মুন্সীর কাছে ফোনে ১ লক্ষ টাকা দাবীর অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দাবীকৃতটাকা না দেয়ায় আবদুল বারেক মুন্সীকে কোন পদ দেয়া হবে না বলে জানিয়েদিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ আবদুল লতিফ মৃধা।এ ৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ওই ভাইরাল অডিও কথোপকথনে ইউনিয়নসম্মেলনে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন এবং ভাড়ায় লোকজন ও পিস্তল আন্তেঅনেক খরচ হয়েছে বলে অডিও তে শোনা যায়। ফোন আলাপে লতিফ মৃধাবারেক মুন্সীকে বলেন যদি তুমি কমিটির গুরুত্বপূর্ন পদে থাকতে চায় তাহলে এক লক্ষ টাকা নিয়ে যোগাযোগ কর।
এব্যাপারে বারেক মুন্সীর জানান,লতিফ মৃধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটিতে সস্মান জনক পদ দেওয়ার নামকরে আমার কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় আমাকেকমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তাই আমি ফোন আলাপটি ফাঁস করেদিয়েছি। এ ব্যাপারে মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারনসম্পদক মোঃ লতিফ মৃধা বলেন, আসলে আমি টাকার বিষয়টি ও ভাবে বলেনি।বারেক মুন্সী নিজেই আমাকে খরচ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সম্মেলনের খরচেরটাকা চেয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা অন্য কারো বলে মন্তব্য করেন। ইউনিয়নআওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সরোয়ারকিচলু বলেন, আমি কমিটির পদ নিয়ে টাকা নেয়া ও চাওয়ার ব্যাপারেকিছুই জানি না। উল্লেখ্য, গত ১২ই নভেম্বর উপজেলার মজিদবাড়ীয়াইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোঃগোলাম সরোয়ার কিচলুকে সভাপতি ও জহির বিএসসিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আবদুল লতিফ মৃধাকে সাধারন সম্পাদক হিসেবেনির্বাচিত করা হয়।