নির্মাণের পর বছর না পেরোতেই দেশে বেশিরভাগ সড়কের বিটুমিন উঠে যায়।হালকা বৃষ্টিতে তৈরি হয় খানাখন্দ।
রফিকুল ইসলাম:নির্মাণের পর বছর না পেরোতেই দেশে বেশিরভাগ সড়কের বিটুমিন উঠে যায়।হালকা বৃষ্টিতে তৈরি হয় খানাখন্দ।কিন্তু ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৪ কিলোমিটার অংশে এর ব্যতিক্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে।উন্নত প্রযুক্তি আর মানসম্পন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করায় অন্তত পাঁচ বছর অক্ষত থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা।এক বছর আগেও বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের এই ১৪ কিলোমিটার ছিল দুর্ভোগের আরেক নাম।মাঝপথে যানবাহন অচল,দুর্ঘটনা এসব ছিল প্রতিদিনের অংশ। এটুকু পথ পেরোতে লাগতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
সরকারের টেকসই উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে নতুন করে এই ১৪ কিলোমিটার অংশ তৈরি করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ও কাঁচামাল।জানা গেছে, ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কটি এখন ২৪ ফুটে উন্নীত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্প বরিশাল জোন’এর আওতায় নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবার কথা থাকলেও দু’মাস আগেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম.খান লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.মাহফুজ খান জানান,এই সড়কটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি।ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে এ সড়কের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।ঝালকাঠি সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে সড়কের কাজ তদারকি করছি।