নতুন আইনকে সহজ ভাবে নিচ্ছেন ড্রাইভাররা
পাখি আক্তার:২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর এই দিনটি বরিশাল পুলিশের চিত্র পাল্টে দেয়।এই দিনে গঠন করা হয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)।বিএমপি গঠনের পর থেকে বরিশালে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ যারা মোকাবিলা করে তারা আর কেউ নয়,বিএমপি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। জনবল সংকট থাকলেও দক্ষতার সাথে ট্রাফিক বিভাগ রাস্তার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে গেছে।সম্প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের আঘাতে নিহত হন সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। তবুও থেমে যায়নি তাদের দায়িত্ব পালন।বিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে একটি সুদক্ষ বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমানে যে মানুষটি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি আর কেউ নন,তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম।
মো.খায়রুল আলম দায়িত্ব নেবার পর থেকে ট্রাফিক বিভাগের অতীতের সকল দুর্নাম কিছুটা হলেও মুছতে শুরু করে।তিনি তার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বরিশালের যানজট নিরসন করেন এবং সবাই যাতে সড়ক আইন মেনে চলেন সে বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম বরিশালে প্রতিটি মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নের পরে। নতুন সড়ক আইন নিয়ে প্রতিটি চালককে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি নতুন এ আইনে জরিমানা প্রধান লক্ষ্য নয়, প্রধান লক্ষ্য আইন মেনে চলা- এ কথাটা তিনি প্রতিটি চালকের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।গতকাল বুধবার নতুন সড়ক আইন নিয়ে নগরীতে দুইটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুইটি সভায় চালকদেরকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। সভা দুইটিতে চালকদের উপস্থিতি এবং মো. খায়রুল আলম’র সাথে তাদের কথোপকথনই প্রমাণ করে দেয় মো. খায়রুল আলম কতটা প্রিয় মুখ চালকদের মাঝে।
রফিক নামের এক বাস চালক জানান, নতুন সড়ক আইন নিয়ে প্রথমে খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো ড্রাইভারি পেশাকে বিদায় জানাতে হবে। কিন্তু বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম’র বক্তব্য শুনে ভয় কিছুটা হলেও কেটেছে। সরকারি বিএম কলেজের ছাত্র আসাদ আরিফ জানান, আমার বাড়ি কাশিপুর। কলেজে যাতায়াতের জন্য বাবাকে অনেক দিন ধরেই বলছি একটা বাইক কিনে দাও। বাবা কিনে দিবে এর মধ্যে এই নতুন আইন পাস হলো। আইনের নিয়ম কানুন দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। বাবাকে বলেছিলাম আমার মোটরসাইকেলে দরকার নেই। কিন্তু কয়েক দিন আগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম’র ট্রাফিক আইন সম্পর্কিত একটি সভায় আমি যোগদান করি।আমি তার বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝতে পারি আইনটি আমাদের জরিমানার জন্য করা হয়নি, করা হয়েছে আমাদের আইন মানার জন্য।