কোচিং বানিজ্য: নীতিমালার মদ্ধেই সীমাবদ্ধ, শিক্ষক বেপরোয়া !
মল্লিক মো.জামাল,বরগুনা প্রতিনিধি:কোচিং বানিজ্য বন্ধে সরকারি নীতিমালা থাকলেও এর দৃশ্যমান প্রয়োগ না থাকায় শিক্ষকরা প্রশাসনকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে যে যার মত কোচিং চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আইনের যথা যথ প্রয়োগ না থাকায় এজন শিক্ষক প্রশ্ন তুলছেন ডিসি স্যার তার ছেলেদের প্রাইভেট কোচিং এ পাঠালে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়াতে সমস্যা কোথায় ? গত ১৯/১১/২০১৯ তারিখে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ী বাজারে ফুলঝুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যলায়ে শিক্ষকদের কোচিং করানোর সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টেরপেয়ে শিক্ষকগন
সটকে পড়েন। অপরদিকে বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন একটি ঘরে কোচিং করাতে দেখাযায় বদরখালী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক মো: জামাল হোসেনকে। তিনি তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষাথী নিয়ে কোচিং করাচ্ছেন। তিনি অকপটে কোচিং করানোর কথা স্বীকার করেন। তার মতে কোচিং কোন অপরাধ নয়। তিনি সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন ডিসি স্যার তার ছেলেকে ও কোচিংএ পাঠান তবে আমি কোচিং করলে দোষ হবে কেন ? শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন আমি একাই নই জেলা ও গার্লস স্কুল সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং করান। আমাদের প্রতিষ্ঠান হতে কোচিং করানোর অনুমতি আছে।কোনো লিখিত অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে ।
বদরখালি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: আশ্রাব আলী বলেন প্রতিষ্ঠান হতে কাউকে কোচিং করানোর অনুমতি দেয়া হয়নি। কেউ কোচিং করালে তার দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককেই নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কোচিং কখোনো প্রতিষ্ঠানের বাইরে হতে পারেনা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ এর অনুচ্ছেদ ৩ এ উল্লেখ আছে কোন শিক্ষক তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষকই এ নীতিমালার তোয়াক্তা না করে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।গত ১৯/১১/২০১৯ তারিখ ফুলঝুড়ির কয়েকজন শিক্ষককে কোচিং করানোর বিষয়ে সতর্ক করা হলে কিছু শিক্ষক কোচিং বন্ধ রাখলেও কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন বদরখালী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক মো: জামাল হোসেন। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে উল্টো কোচিংএর পক্ষে সাফাইগাইছেন।অভিভাবকদের অভিযোগ শুধু নীতিমালা করে বসে থাকলেই এ সমস্যার সমাধান হওয়া সম্বব নয়। এর জন্য দরকার কঠোর নজোরদারী।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষাও উন্নয়ন) কে সভাপতি করে জেলার ৮ সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটির কাঠামো থাকলে ও তা নীতিমালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এমন অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের। তাদের অভিযোগ কোচিং বন্ধের নীতিমালার ১৩ অনুচ্ছেদের (ক) এ শাস্তি হিসাবে উল্লেখ, আছে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিভুক্ত কোনো শিক্ষক কোচিং বানিজ্যে জড়িত থাকলে তার এমপিও স্থগিত, বাতিল, বেতন ভাতাদি স্থগিত, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন এক ধাপ অবনমিত করণ, সময়িক বরখাস্ত, চুড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কতৃপক্ষ গ্রহণ করবে।এ বিষয়ে কোচিং বন্ধে জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব, ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরগুনা মো শাহাদাত হোসেন বলেন- কোন শিক্ষক কোচিং করাতে পারবে না। কেউ কোচিং করালে তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।