শ্রীপুরে প্রকাশ্য সন্ত্রাসের রাজত্ব দিনমজুরের পাওয়ার টিলার ও ট্রলার ছিনতাই ।
ফেরদাউস:মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়নে প্রকাশ্যভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে।দেশীয় তৈরি রামদা ছোরা লাঠি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় মহড়া চালাচ্ছেন বলে খবর পাওয়াগিয়াছে।পুলিশ প্রশাসন দেখেও না দেখার ভ্যান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।চর দখলকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে বলে খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে।গতকয়েকদিন ধরে এমন ঘটনায় তিব্দ্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আনন্দ বাজার ব্যবসায়ীরা বলেন,আমরা সন্ত্রাসের কর্মকান্ডে রীতিমত ব্যবসা চালাতে পারছিনা।এরইধারাবাহিকতায়গতকাল বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা মৃত রত্তন রাড়ীর পুত্র জসিম রাড়ীর একটি পাওয়ার টিলারও একটি ট্রলার নিজ বাড়ি থেকে জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায়।জসিম রাড়ীজানান, পাওয়ার টিলারটা ক্রয় মূল্য ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং ট্রলারটি ১ লাখ ১০ হাজারটাকায় ক্রয় করেন ।দিনমজুর জসিম রাড়ী বলেন, তার পরিবারের একমাত্র অ্যায়ের উৎস হলোপাওয়ার টিলার ও ট্রলারটি ।
স্থানীয় পুলিশ ফাড়িতে গেলে ভূক্তভোগী পরিবারের কোনোপ্রকার কথা না শুনে তাদের তারিয়ে দেয়া হয়।গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,এলাকার সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গরা হলেন মৃত হোসেন শেখের পুত্র জাব্বার শেখ,মান্নানশেখের পুত্র রাজ্জাক শেখ,জীবন মোলার পুত্র মাসুদ মোলা, রেজাউল হাওলাদারের পুত্র মিজানহাওলাদার,মৃত রহম আলী হাওলাদারের পুত্র নুরউদ্দিন হাওলাদার,শাজাহান গাজীর পুত্র রাসেলগাজী,মোহাম্মদ খানের পুত্র হাফেজ খান,ইউসুব খান,ইদ্রিস জোমাদ্দারের পুত্রআমিনুল জোমাদ্দার,শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও মমতাজ মাষ্টারের পুত্রআমজাদ হোসেন রনি,কাঞ্চন জমাদ্দারের পুত্র আব্বাস জোমাদ্দার, মৃত মানিক ভূইয়ার পুত্রশামিম ভূইয়া, সত্তার রাড়ীর পুত্র জাহাঙ্গীর রাড়ী, নুরুন্নবী ভূইয়া, অসিম পন্ধসঢ়;চাইদ ।এসকল সন্ত্রাসীরা তাদের একতন্ত্র রামরাজত্ব চালাতে স্থানীয় সাধারন মানুষজনকে হয়রানীকরে আসছেন।ভিবিন্নভাবে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের অস্ত্রের মূখে ভয় দেখিয়ে জিম্মিকরা হয়, যাতে লাভবান হচ্ছে চর দখলের বিশাল এক মিশন।এলাকাবাসী জানিয়েছেন,শুধুজসিমের নয় এ বাহিনীরা আরো বহুজনের গড়–, মহিষ, টাকা ছিনাইয়া নিয়া গেছে ।তাদের বিরুদ্ধে উক্ত এলাকার কেউ কোনো প্রকার মূখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।এ ব্যাপারেশ্রীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই বিকাশ বলেন,কয়েকদিন আগের একটিমারামারির ঘটনায় এলাকায় কিছু উক্তেজনা চলছে।তিনি বলেন,দেশীয় অস্ত্র হাতেরাস্তায় কাউকে দেখা যায়না তবে কিছু স্থানে জরো হতে দেখা যায়।ইনচার্জ বলেন,ট্রলার ও পাওয়ার টিলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় জসিমের স্ত্রী আসছিল তবে জসিম আসেনীবিধায় মামলা নেয়া হয়নি।এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুন মোলা বলেন,আমিবরিশাল ছিলাম আমার নলেজে কিছু আসেনী।এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রশাসনের উপরোক্ত কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।