ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতিগ্রস্তরা ১৪ দিনেও পায়নি সরকারি সহযোগিতা - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতিগ্রস্তরা ১৪ দিনেও পায়নি সরকারি সহযোগিতা


মল্লিক মো. জামাল ,বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার তালতলীতে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের ক্ষতিগ্রস্তরা ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ত্রাণ পায়নি ২০ টি পরিবার। ভাঙ্গা ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার ইচ্ছা করেই ভাঙ্গা ঘরের তালিকায় তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করেনি।জানাগেছে, গত ১১ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানে। বুলবুলের আঘাতে তালতলী উপজেলার দুই’শ ৫৮ টি ঘর বিধ্বস্থ হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্যের গাফলতিতে তেতুঁলবাড়ীয়া এলাকার ২০ টি ঘর বিধ্বস্থ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়নি।

বুলবুলের আঘাতের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পায়রা নদী ভাঙ্গন কবলিত তেতুঁলবাড়ীয়া গ্রামের সোহরাফ হাওলাদার,সেলিম হাওলাদার, আনোয়ার মল্লিক,রুজিনা, খাদিজা,জয়নাল মীর, হনুফা, আলমগীর,জামাল আকন, এমাদুল,আলী হোসেন, ছত্তার হাওলাদার ও নজরুল হাওলাদারসহ ২০ টি পরিবার এখনও কোন ত্রাণ পায়নি। বুলবুলের আঘাতে ওই পরিবার গুলোর ঘর-বাড়ী বিধ্বস্থ হয়ে গেছে।তেতুঁলবাড়ীয়া গ্রামের ভুক্তভোগী সেলিম হাওলাদার ও খাদিজা বলেন, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলে আমাদের ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। এই ১৪ দিনেও কেউ ত্রাণ নিয়ে আসেনি। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমন কি বন্যার সময়ও কেউ শুকনো খাবার নিয়ে আসে নাই।এদিকে ভুক্তভোগী রোজিনা বলেন, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের দিন সকালে ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার এসে ভাঙ্গা ঘর দেখে গেছেন কিন্তু তিনি ইচ্ছা করেই ঘর ভাঙ্গা তালিকায় এই এলাকার কারো নাম অর্ন্তভুক্ত করেনি। তার আত্মীয় স্বজনের নামে ভাঙ্গা ঘরের তালিকা দিয়েছেন

ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার গাফলতির কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই এলাকার ভাঙ্গা ঘরের তালিকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি নামগুলো কেটে দিয়েছেন।নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম কে বলেন এবিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন আমি কিছু জানি না বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহসীন উল হাসান এ বিষয়ে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে ফোন ধরেনি।তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা (ভারপ্রাপ্ত ) বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Top