ঘুষ দাবীকারী ষ্টাফরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
পাখি আক্তার:বরিশাল আদালতে একটি মামলায় জামিন করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই আসামীর নিকট ৫০ হাজার এবং একই মামলায় সেসন নম্বর ফালাতে ও সার্চিংয়ে এক হাজার টাকা করে ঘুষ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মারুফ আহম্মদের কোর্টের ষ্টাফ নূর সাইদসহ চারজন ষ্টাফ এবং বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার আ: কাদের ও বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার রেখা রানী ওই ঘুষ দাবী করে। গত রোববার রেখা রানীকে সাময়িক বহিষ্কার করলেও অপর ষ্টাফরা বহাল তবিয়তে আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সনের ১৮ জানুয়ারী বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের বার্তা পত্রিকার ১ম পাতায় “নলছিটির নাশকতাকারী ইব্রাহিম মানিক এখন সাগরদীর জ্বীন বাবা মানিক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওই সংবাদটির প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদেন দাখিলের জন্য ডিবির ডিসির নিকট প্রেরণ করলে ডিবির এসি শাখাওয়াত হোসেন তদন্ত করেন।তিনি সংবাদে অভিযুক্ত ইব্রাহিম মানিক ওরফে জ্বিন মানিকের নিকট থেকে অনৈতিক অার্থিক সুবিধা গ্রহণ করে তার পক্ষে ও জ্বিন মানিকের কথিত মতে একটি মিথ্যা-ভিত্তিহীন প্রতিবেদেন ডিবির ডিসির নিকট দাখিল করেন।এবং সরকারের ওই গোপনীয় প্রতিবেদেনের কপি ইব্রাহিম মানিককে প্রদান করে।ইব্রাহিম মানিক ওই প্রতিবেদেনের কপি নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে নালিশী অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ডিবি পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদেনের প্রেক্ষিতে এজাহার নেওয়ার জন্য বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানাকে নির্দেশ দেয়।মমলা নং-৬৯ ও জিআর মামলা নং-১৮২/১৮।উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক মু:মনিরুজ্জামান মুনির ও অপর আসামী মাও:কামাল হোসেন বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফ আহম্মদের আদালতে গেলে ওই আদালতের নুর সাইদসহ চারজন ষ্টাফ দু’জনকে জামিন করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত বছর জুলাই মাসে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন।
এরপর ওই মামলাটিকে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করলে সেশন নম্বর জানতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক মুনির সেরেস্তাদার আ:কাদেরের নিকট গেলে তিনি নম্বর ফালাতে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন।পরবর্তীতে গত ৬ নভেম্বর সেশন-৮৮৮/১৯ মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।সাংবাদিক মুনির সাচিং পাওয়ার জন্য সরকারের নির্ধারিত ১৮৬৬নম্বর ফরমে কোট ফি লাগিয়ে গত ১১ নভেম্বর আবেদন করে ওই আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার (নকলনবিশ) রেখা রানীর নিকট দাখিল করলে তিনি এক হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন।এই ঘুষ দাবীর ঘটনাটি সাংবাদিক মুনির গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করলে তা ভাইরাল হয়।এতে রেখা রানীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।কিন্তু অপর ঘুষ দাবীকারী ষ্টাফরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।