বরিশাল টু ভোলা নৌরুটে স্পীডবোর্ড ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ন অবৈধ ”যুগ্ন পরিচালক । - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল টু ভোলা নৌরুটে স্পীডবোর্ড ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ন অবৈধ ”যুগ্ন পরিচালক ।


মোঃ ফেরদাউস :বরিশাল ভোলা নৌরুটে স্পীডবোর্ড ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার অবৈধ বলে জানালেন বন্দরনিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মোঃ আজমল হুদা মিঠু সরদার । সরকারী নিষেধ ও এম নাম্বার ছারাইযাত্রী সেবার নামে এক প্রকার চাদাবাজিতে মেতে উঠেছে বরিশাল ডিসি ঘাট,লাহারহাট, ভোলা ভেদুরিয়া ফেরিঘাট, ইলিশা ফেরিঘাট, মনপুরা থেকে হাজিরহাটসহবিভিন্ন ণৌ”রুটে স্পীডবোর্ড ও ট্রলার যোগে যাত্রী পারাপার । মোঃ আজমল হুদামিঠু বলেন, এ সমস্ত যাত্রী সেবাদানকারী নৌ”যানগুলোর কোনো এম নাম্বার (মেরিং)লাইসেন্স না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার মামলা দিতে পারছেনা তারা । তবেস্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় ট্রলার ও স্পীডবোর্ডে যাত্রীসেবা দেওয়ায় কোনোপ্রকার নজরদারী দেখা মিলছেনা । এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীনরা স্থানীয় প্রভাবসৃষ্টি করে প্রশাসন ও নৌ” কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গী দেখিয়ে অবৈধভাবে ট্রলার ওস্পীডবোর্ড যোগে চালাচ্ছেন যাত্রী পারাপার । যুগ্ন পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চছারা কোনো প্রকার যানবাহনে যাত্রী পারাপারের অনুমতি দেন না নৌ” কর্তৃপক্ষ ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৪/১৫ জন যাত্রী বোঝাই করে স্পীড বোড ও ৪০/৫০ জনযাত্রী বোঝাই ঝড় বন্যা তুফানের মধ্য দিয়ে সাধারন মানুষজনের জীবনের ঝুকি নিয়ে বড়বড় নদ নদীতে পারাপার হচ্ছে ।

খোজ খবর নিয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রশাসনের সাথে সখ্যতারেখেই চলছে এ সমস্ত নৌ”যানের নামে যাত্রী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান । প্রতিটিস্থানে এ সকল অবৈধ নৌ”যান চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় মালিক সমিতি । উক্তসমিতি পরিচালনার ক্ষেত্রেও অনেকটার নেই কোনো কার্যকর সরকারী অনুমতি । স্থানীয়প্রভাবশালীগনের মাধ্যমে প্রশাসনের এক শ্রেনীর অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসেইনিরভে চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যায় । বরিশাল সমিতির আওতায় প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টিস্পীড বোড যাত্রী পারাপার করছে । লাহারহাট সমিতির আওতায় প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ টিস্পীড বোড ও ২০ থেকে ৩০ টি ট্রলার যোগে যাত্রী পারাপার করছে । ভোলা ভেদুরিয়াসমিতির আওতায় প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টি স্পীড বোড ও ৪০ থেকে ৫০ টি ট্রলার যোগেযাত্রী পারাপার করা হচ্ছে । এসমস্ত সমিতির লোকজনের দাবি হলো তাদের এতে অনুমতিরয়েছে ।

তবে প্রায় সময় এ সমস্ত নৌ”যানগুলো কেড়ে নিচ্ছে তাজা তাজা প্রান ।যখনই দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয় তখনই প্রশাসন কঠিন নজরদারি রাখলেও পরবর্তি সময় নিরভেইথেকে যায় বলে দেখা যায় । এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন,আপনি একটু এসপি স্যারের সাথে কথা বলেন । ভোলা এসপি সরকার মোঃ কাওছারহোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের সভাপত্তিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিনে তারাযাত্রী সেবা দিতে পারবে কিন্তু রাতে পারবেনা । তিনি বলেন, আমরা সেটা বাস্তবায়নকরে থাকি । বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ অজিয়র রহমান বলেন, স্পীডবোড ও ট্রলারলোকালয়ে চালু হয়েছে এরা যাত্রী পারাপারের কোনো অনুমতি নেই । ভোলা জেলা প্রশাসকমোঃ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, এগুলোর কোনো প্রকার অনুমতি নেই । তিনি বলেন,যাত্রী চাপ একটু বেশি থাকায় আমরা কিছু বলি না তবে মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্টকরে থাকি ।

Top