৫০ হাজার লোক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০ হাজার লোক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন।


পাখি আক্তার:শক্তি সঞ্চার করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।এর প্রভাবে গোটা বরিশাল বিভাগ জুড়েই বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে।কখনো মাঝারি,কখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে মাল-যাত্রীবাহী সব নৌযান।এরই মধ্যে বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ে জন্য সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারসহ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে শুরু করেছে মানুষজন। তবে, এখনো অনেকেরই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে অনীহা রয়েছে।তাদের বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোসহ সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।বরিশাল জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া তথ্যমতে,শনিবার(৯ নভেম্বর)বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত জেলার ২৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার লোক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান,দুপুর ২টা পর্যন্ত তার আওতাধীন বরিশাল সদর,টুয়াখালীর দশমিনা,গলাচিপা,রাঙ্গাবালী,পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলায় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বাকিদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন,অনাগ্রহ থাকলেও জীবন ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।তাদের সম্পদের নিরাপত্তা যতটা সম্ভব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেওয়ার চেষ্টা করবে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ৫৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ তেমন একটা বাড়েনি তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের থেকে কিছুটা বেড়েছে।তবে,এখনো কোনো নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

Top