বহিস্কৃত নেতা নাজমুল হুদা অনেক আগ থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত।
রিপোন হাওলাদার:বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সেই বহিস্কৃত নেতা নাজমুল হুদা অনেক আগ থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত।সাগরদীর তরকারী বাজার থেকে শুরু করে গরুর মাংস, গরুর ভুড়ি, গরুর খুড়া, ডিম ক্রয় করে দোকানীদের টাকা পয়সা প্রদান করতেন না।
বলাবাহুল্য : ইতিপূর্বে সাগরদী বাজারের দোকানদার এর কাছ থেকে মালামাল কিনে টাকা না দেয়ায় দোকানদাররা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধর করেন নাজমুল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাজারের দোকাদারগন বাজার বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনও করেছিলো। এবং সাগরদী রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিষ্পিত্তি করেন। ওই শালিসীতে নাজমুল হুদা মুচলেকা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে এরূপ কোন কার্যকলাপ করিবেনা বলে মর্মে অঙ্গিকার প্রদান করেন। কিন্তু এতো কিছুর পরও তার অপকর্ম ক্ষান্ত হয়নি। বাজারের ঢুকে সাধারন ব্যবসায়ীদের বর্তমানে হুমকী প্রদান করে বলছে- যে আমি যখন যেসব মালামাল চাইব তোরা তা দিবি নইলে তোরা দোকানদারী করতে পারবিনা। কোথায়ও নালিশ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
দ্বিতীয়ত : রূপাতলী হাউজিং স্টেটের মধ্যে রাস্তা করে দেবার জন্য ইতিপূর্বে এক কোটি ৪২ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছেন। যা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ আকারে প্রকাশিতও হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকায় দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নাজমুল হুদা।
তৃতীয়ত : শেরে বাংলা রোডের সম্পা চৌধুরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। নাজমুল হুদার ব্যবহারিক মোটর সাইকেলটি রাস্তায় রেখে সম্পা চৌধুরীর সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ করতে গেলে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এজন্য মোটরসাইকেলটি চুরির বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অসহায় সম্পা চৌধুরীকে পরে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু নাজমুল হুদা সম্পা চৌধুরীর স্বামীকে হুমকী দিয়ে প্রকাশ করে যে, শালা আমার জিনিস আমাকে ফিরিয়ে দে,নইলে তুই আর বরিশালে আসতে পারিব না। বর্তমানে নাজমুল হুদা অনৈতিক কার্যকলাপের নিয়ম পাল্টে তিনি যখন সম্পা চৌধুরীর বাড়িতে যায় তখন রাস্তায় তার বর্ডিগার্ড শেরে বাংলা রোডের পলাশ এবং কনক পাহারায় থাকে। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও প্রশাসন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা নিরব থাকছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চলমান থাকায় উলেখিত নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ ভুক্তভোগীরা। এলাকাবাসীর প্রশ্ন নাজমুল হুদার খুটির জোর কোথায়?
চতুর্থত : গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদে নির্বাচনে পূর্বে ২৬ ডিসেম্বর তারিখে নির্বাচনের খরচের টাকা ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলনকে মারধর করার একপর্যায়ে গণপিটুনিতে নাজমুলের হাত ভেঙ্গে যায়। যার কারণে তাকে হাত ভাঙ্গা নাজমুল বলে সকলেই চেনেন ও জানেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বরিশাল সিটি মেয়র এর দৃষ্টি আকর্ষন করলেও এখন পর্যন্ত কোন ফল পাননি। বিষয়টি সর্ম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুলাহ’র আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রসঙ্গত : ইতিপূর্বে নাজমুল হুদা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রীজের নিচে জনৈক এছাহাক গাজীর জমি দখল করতে গেলে স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসেন। এছাড়া তার তার বিরুদ্ধে ধানগবেষনা রোড থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের গাছ কর্তনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি ফলাউ করে বরিশালের মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এদিকে বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী চেয়ারম্যান মরহুম সালাম মিয়ার পুত্র ওয়াহিদুল আনাম তানু ও তার দুই চাচা আমেরিকান প্রবাসী সফিক আকবর ও শহিদকে হত্যার হুমকি দিয়েছে নাজমুল হুদা, নজরুল ইসলাম ও আ: মান্নান নামের সংঘবদ্ধ চক্র। এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গত ২৯ ডিসেম্বর (২০১৮) সন্ধ্যায় সাগরদী রোডের সাবেক জনতা স্বমিলের সামনে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নাজমুল হুদা,নজরুল ইসলাম, আ: মান্নান উত্তেজিত হয়ে শহিদ খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ওই সময় উপস্থিত লোকজন এগিয়ে আসলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। নাজমুল হুদা চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় নারী পুরুষ।
এদিকে এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। ওয়াহিদুল আনাম তানু বাদী হয়ে ডায়েরি এই ডায়ের করেন, যার তারিখ..২৯-১২-২০১৮।
প্রসঙ্গত : দক্ষিণ সাগরদী চেয়ারম্যান মরহুম সালাম মিয়ার পুত্র ওয়াহিদুল আনাম তানুর চাচা সফিক আকবর ও চালি আকবর ওরফে শহিদ আমেরিকান প্রবাসী। কিন্তু তার অদৃশ্য খুটির জোরে প্রশাসনও নিরব,এরকমই প্রশ্ন করেছেন ভুক্তভোগীরা।