বরিশাল নগরীতে ইমাম,মোয়াজ্জেমদের জন্য অতিশীঘ্র ইমাম ভবন নির্মান
পাখি আক্তার:বরিশাল নগরীতে ইমাম,মোয়াজ্জেমদের জন্য অতিশীঘ্র ইমাম ভবন নির্মান,ইমামদের জন্য ভাতা প্রদানসহ তাঁদের সকল বিষয়ে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুলাহ বলেছেন, ইমামরা হচ্ছেন এই সমাজের সবচেয়ে সন্মানিত ব্যক্তি।তাঁদের কথার গুরুত্ব অনেক বেশী। তাই তাঁরা যদি মাদক ও সন্ত্রাস এবং সমাজের নানা অপকর্ম নিয়ে প্রতি জুম্মায় খুতবার আগে বয়ান প্রদান করেন তাহলে সমাজে সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার রাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বরিশাল নগরীর ইমামবৃন্দ’র সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।মেয়র তাঁর বক্তব্যে প্রশ্ন রেখে বলেন,যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না,যারা ধর্মপ্রান না,যারা মসজিদের কাজে সময় দেন না তারা কিভাবে মসজিদ কমিটির সভাপতি হয়? যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের কোন দায় নেয়া হবেনা।তিনি বলেন,বড় বড় আলেম ওলামা ও অলি আউলিয়াদের পূর্নভূমি এই বরিশালে কোন জঙ্গিবাদ নেই।আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি শান্তির ধর্ম ইসলামের খেদমতে যারা নিয়োজিত আছেন তাঁরা কোন উগ্র সন্ত্রাসবাদের যুক্ত থাকতে পারেন না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তা থেকে তাঁর আত্মীয় স্বজনও রেহাই পাচ্ছেনা।আমিও তাঁর একজন আদর্শের কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন,টাকা পয়সার প্রতি আমার কোন মোহ নাই।টাকার কাছে আমি বিক্রি হইনা।আমার পূর্ব পুরুষেরা এদেশের জনমানুষের জন্য কাজ করেছেন।আমিও সকলের দোয়া নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহনের এক বছরের মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনিয়ম,দূর্নীতি বন্ধ করেছি।এখন আমার কাজ হচ্ছে নগরীর বর্ধিত এলাকাসহ ৩০টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন। আমি এ নগরীর জনগনের জন্য কতোটুকু কাজ করতে পেরেছি তার মূল্যায়ন হবে আগামী পাঁচ বছর পর। আমি ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে নগরীর রাস্তাগুলো সংস্কার করছি। পর্যায়ক্রমে নগরীর প্রতিটি এলাকার সড়ক গুলো ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়েই চলাচলের জন্য তৈরী করা হবে।মেয়র সাদিক আবদুলাহ বলেন,আমি নগরীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি আমার ব্যক্তি স্বার্থে নয়,জনগনের স্বার্থে।কারন অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।এছাড়া আমি এখন পর্যন্ত যেসকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা এ নগরীর জনস্বার্থে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃশাহাবুদ্দিন খান,বিপিএম (বার),বরিশাল জেলা প্রশাসক এস,এম, অজিয়র রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার), বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, জাতীয় ইমাম সমিতি বরিশাল মহানগর সভাপতি মাও. কাজী আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মাও. সামসুল আলম, চকবাজার জামে এবায়দুলাহ মসজিদের খতিব মাও. নুরুর রহমান বেগ, , জাতীয় ইমাম সমিতির ২৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাও. হাবিবুর রহমান, ২৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাও, শেখ সাদী,কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাও.সাইদুর রহমান কাসেমী,কালুশাহ সড়ক জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও.মনিরুজ্জামান নুরারী,জিলা স্কুল জামে মসজিদের খতিব মাও. আঃ কাদের কাসেমী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।মতবিনিময় সভায় অন্যানের মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা,বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.একে এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বরিশাল মহানগরীর সকল ইমামবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভায় অতিথিরা সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ,মাদক ও গুজব প্রতিরোধে ইমামদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।