মৃত মায়ের পেনশন হাতিয়ে নিতে প্রতিবন্ধী ভাই ও পিতাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ফাঁস!
নিজস্ব প্রতিবেদকঃমৃত মায়ের পেনশন হাতিয়ে নিতে প্রতিবন্ধী ভাই ও পিতাকে হত্যা করার পরিকল্পনার গোমর ফাঁস হয়ে গেছে।নানীর বাসায় বসে এ পরিকল্পনা করে টিএনটির কর্মচারী মৃত মরিয়র বেগম ও জাহিদ হোসেন দম্পত্যির বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম অভি (২৭)।মরিয়ম বেগমের মৃত্যুর পরে সরকারি কোয়াটার থেকে পিতাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাই আসাদুল ইসলাম অমি (২৩)কে জিম্মি করে রেখেছে অভি।এর নেপথ্যে রয়েছে টিএনটির কর্মচারী আশ্রাফ হোসেন ও অভির আপন খালা পারভীন বেগম বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।টিএনটির কর্মচারী মরিয়ম বেগম তার স্বামী জাহিদ হোসেন ও তাদের দুই সন্তানদের নিয়ে সরকারি কোয়াটারে বসবাস করে আসছিল।সঙ্গত কারণে তাদের বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম অভি মাদকাসক্ত হয়ে পরে।ব্যবসার কথা বলে মরিয়ম বেগমের নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে মাদকব্যবসায় টাকা নষ্ট করে। এর পরে নানান সময়েই মাদকসেবনের জন্য ঘড়ে ভাংচুর করে টাকা আদায় করে আসছিল।আকস্মিক ভাবে টিএনটিতে কর্মরত অবস্থায় ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বরে মরিয়ম বেগমের মৃত্যু হয়।এরপর মরিয়ম বেগমের পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করার অসৎ উদ্দেশ্যে টিএনটির কর্মচারী আশ্রাফ হোসেন ও তার খালা পারভীনের সাথে সক্ষতা গড়ে অভি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই আসাদুল ইসলাম অমিকে জিম্মি করে রেখে সরকারী কোয়াটার থেকে তার পিতা জাহিদ হোসেন কে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর আশ্রাফ হোসেন জাহিদ হোসেনের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে মিমাংসা করে দেবার কথা বলে।এ নিয়ে জাহিদ হোসেন মাদকাসক্ত পুত্র অভির নামে মামালা দায়ের করে।মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সি,আর নং ৬৮৬/২০১৯( কোতয়ালী) সম্প্রতি মৃত মরিয়র বেগমের মা ফাতেমা বেগম ও ছোট বোন আইরিন ‘অভি’র বিষয়ে মোবাইলে কথপোকথন করার রেকর্ডে পিতা এবং প্রতিবন্ধী ছোট ভাইকে পয়জন দিয়ে হত্যার নীল নকশার বিষয় ফাঁস হয়ে যায়। অভির নানী মৃত মরিয়ম বেগমের মা ফাতেমা বেগম তার ছোট মেয়ে আইরিনের মুঠোফোনে কল করে সম্প্রতি তার কার্যকলাপের বিষয় অবহিত করার কথপোকথনের কল রেকর্ডে অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তাদের কথপোকথনের কল রেকর্ড শুনে জানা গেছে,সরকারি কর্মচারী মৃত মরিয়র বেগমের বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম অভি তার মায়ের পেনশনের সব টাকা হাতিয়ে নিতে পিতা জাহিদ হোসেনকে ও তার এক মাত্র প্রতিবন্ধী ছোট ভাই আসাদুল ইসলাম অমিকে স্লো পয়জন খাইয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে। আর এর সহযোগিতা এবং মদদ দাতা অভির আপন খালা পারভীন ও টিএনটির কর্মচারী আশ্রাফ হোসেন। কথপকথনে নানী এবং ছোট খালা আইরিন বলেন এর আগে তাদের জামাইকেও অভি এবং অপর খালা পারভীন বেগম পয়জন খাইয়ে যেভাবে হত্যা করেছিল একই ভাবে তার পিতা জাহিদ হোসেন ও তার প্রতিবন্ধী ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করছে অভি।যাতে মায়ের পেনশনের টাকা একাই ভোগ করতে পারে।অভির নানী ফাতেমা বেগম তার ছোট খালাকে বলেন অভি ৭/৮ জন মিলে ঘর বন্ধ করে থাকে এবং মাদক সেবন করে। ছোট প্রতিবন্ধী ভাইকেও অযত্নে রেখে পয়জন খাইয়ে মারার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় অভিকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে নিস্তার পাওয়ার বিষয়টিও আলোচনা করে তার নানী ও ছোট খালা এমন কথপোকথনের কল রেকর্ড প্রতিবেদকের নিকট দিয়ে হত্যার পরিকল্পনার গোমর ফাঁস করে অভির পিতা জাহিদ হোসেন। তিনি অভিযোগ করে জানায়, তাকে সরকারি কোয়াটার থেকে মারধর করে বের করে দেয় তার বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম অভি ও তার প্রতিবন্ধী সন্তান আসাদুল ইসলাম অমিকে জিম্মি করে রেখেছে।
তাকে এবং তার প্রতিবন্ধী সন্তানকে পয়জন খাইয়ে মারার পরিকল্পনার বিষয়ের কল রেকর্ড শুনে তিনি তার মাদকাসক্ত বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম অভির নামে মামলা দায়ের করে এবং প্রতিবন্ধী ছোট ছেলেকে বাঁচাতে তার কাছে পাওয়ার জন্য আইনের দারস্থ হয়ে উকিল পাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে নিজেই প্রায় নিঃশেষ হবার উপক্রম ঘটেছে। তিনি তার এবং প্রতিবন্ধী ছোট ছেলের প্রান বাঁচাতে আইনের দয়ারে কড়া নেড়ে বছর অতিবাহিত হলেও এর সুষ্ঠু ভাবে সমাধান পাচ্ছে না। তিনি তার জীবনের শেষ পর্যায় পৌছে তার মাদকাসক্ত বড় ছেলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করে সুস্থ করে তোলা এবং মাদকাসক্ত ছেলের হাত থেকে প্রতিবন্ধী ছোট ছেলের প্রান রক্ষার জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছে।