এক কাউন্সিলরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা
পাখি আক্তার:বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাটের ঔষধ ব্যাবষায়ী শিরিন মেডিকেল হলের মালিক ও সাংবাদিক শিরিন রবিবার রাত ১০ টার দিকে মারা গেছে।হঠাৎ দোকানের সামনে অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ(শেবাচিমে)হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।বরিশালের আলোচিত মুখ ওষুধ ব্যবসায়ী শিরিন খানমের মৃত্যুর কারণ পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। রহস্যময় মৃত্যুর পর সোমবার সকালে মৃতের ভাই ইউসুফ মৃধা বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামীরা হলেন- মশিউর রহমান মারুফ,শেলি,জনি,কায়েস, রনি, আলো, এটিএম শহিদুল্লাহ কবির।এদিকে আজ দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে শিরিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারনা- বিষাক্ত জাতীয় ইনজেকশন শরীরে পুশ করায় তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু ঘটে।রোববার রাত ১০টায় নৌবন্দর সংলগ্ন নিজস্ব মালিকানাধীন ‘শিরিন ফার্মেসি’তে অবস্থানকালে আকস্মিক তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুটা সময় পরেই শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
মৃত্যু পূর্ব শিরিন দুইদফা ফেসবুক লাইভে এসে তাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে উৎখাত ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে হতাশ জীবনে বেঁচে থাকার মানে হয় না বলে মন্তব্য করেন। এবং এই ষড়যন্ত্রের অনুঘটক হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহসহ তার অনুসারী ৭ জনকে দোষারোপ করেন।অপর একটি সূত্র বলছে, বরিশাল সিটি কর্পােরেশনের সফল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নাম ব্যবহার করে বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেটে স্টল নিয়ে বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের
বিরুদ্ধে।
উল্লেখ, পার্শ্ববর্তী ওষুধ ব্যবসায়ি জনৈক জনি নামক এক ব্যক্তির সাথে হৃদয়ঘটিত সম্পর্কের অভিযোগে একতরফা সালিশ বৈঠকের বিচারের ওই কাউন্সিলরের সিদ্ধান্তে শিরিনকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই ঘটে রহস্যময় এই মৃত্যু। এই নিয়ে বরিশালের সর্বত্র চলছে তোলপাড়।বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে অপরাপর ৬ আসামি মশিউর রহমান মারুফ, শেলি, জনি, কায়েস, রনি এবং আলোকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর কথা জানান।