টেষ্টি বেকারি নামক খাবার প্রতিষ্ঠানের খাদ্যে দেখা মিলল পিন লোহা!
পাখি আক্তার:বরিশালের বিসিক শিল্প নগরীতে টেষ্টি বেকারি নামক খাবার প্রতিষ্ঠানের খাদ্যে দেখা মিলল পিন লোহা!প্রায়শই বেকারি গুলোর খাবারে রশি,মশা,মাছি,তেলাপোকা,টিকটিকি পাওয়া যায়।একের পর এক এমন ঘটনায় বরিশালে যেন প্রতিযোগীতা দিয়ে চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পিন লোহাসহ বিভিন্ন বেকারীতে খাদ্য প্রস্তুতকরণ। কিছুদিন আগেই বিসিকে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত পচাবাসি খাবার বিক্রি করার দায়ে দুই বেকারির মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর এবার টেষ্টি বেকারীর কেক এর মধ্যে পাওয়া গেল পিন লোহা।বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার সিদ্দিক বাজারের একটি দোকান থেকে টেষ্টি বেকারির কেক কিনে বাসায় নেন রনি নামে এক লোক। আর তার ৪ বছরের ছেলে প্যাকেট খুলে কেক ভেঙ্গে আস্ত একটা পিন লোহা দেখতে পান। ওই শিশুটি কেক খেতে গিয়ে তার মুখ কেটে যায়। তাৎক্ষনিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ করা হয়।
পরে কেক বিক্রয়কৃত দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা। আমাকে বেকারি থেকে কেক দিয়ে গেছে।রনি অভিযোগ করেন, এ প্রতিষ্ঠানটির নামে বাজারজাতকরণের প্যাকেটটি সুন্দরভাবে মাড়িয়ে রাখা হলেও ভিতর দিয়ে সদর ঘাট। বেশ কয়েকবার বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। তবুও এসব বেকারি গুলোর খাবার খুবি অসাস্থকর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণে বরিশালের দোকানগুলো ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করার সুযোগ পাচ্ছে। খাদ্যের গুণগত মান সঠিক রাখার জন্য এবং ক্রেতারা যেন প্রতারিত না হয়, সে দিকে নিয়মিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান জরুরী। এরসাথে প্রতারকদের ভোক্তা আইনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা খুবই জরুরী। আর এটি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কার্যকরী ভূমিকা চায় তিনি।
এ বিষয়ে টেষ্টি বেকারির মালিক ফয়েজের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি নানা টালবাহানায় প্রতিবেদককে ম্যানেজের পায়তারা চালায়।প্রসঙ্গত, বরিশালে প্রতিনিয়ত খাদ্যে ভেজাল,বিভিন্ন কেকের দোকান, বেকারি ও রেস্টুরেন্টগুলো এমন প্রতারণা ক্রেতাদের সাথে সব সময় করে যাচ্ছে। এর পূর্বে কয়েকটি বেকারিতে খাদ্যে ভেজাল এবং কেক এর মধ্যে রশি, মশা, মাছি, তেলাপোকা, টিকটিকি পাওয়া যায়।