সুন্দরী নারীসহ ৫ জনের একটি চক্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাদাঁবাজী করার অভিযোগ
পাখি আক্তার:বরিশালের উজিরপুরে ভূয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সুন্দরী নারীসহ ৫ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাদাঁবাজী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।কখনো মন্ত্রণালয়,কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পরিদর্শনের নামে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। পরিদর্শনের নামে এ ভাবে চাদাঁবাজী করায় বিপাকে পড়ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,১৩ অক্টোবর দুপুরে মালিকান্দা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় আকস্মিকভাবে মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পরিদর্শনের কথা বলে মাদ্রাসার শিক্ষকদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করলে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান কামাল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যেতে শুরু করে।পরে স্থানীয়রা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে।এক পর্যায়ে তারা সকলের হাত পা ধরে মুচলেকা দিয়ে গণধোলাই থেকে রক্ষা পেয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়।এ ছাড়া একই দিনে উজিরপুর আলিম মাদ্রাসা ও সাকরাল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান কামাল বলেন,প্রথমে তারা মন্ত্রণালয়ের কথা বলে পরিদর্শন করবেন জানান।চ্যালেঞ্জ করলে তারা সাংবাদিক পরিচয় দেয়।এমনকি এখান থেকে পালিয়ে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ চাঁদাবাজরা আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ব্যাপারে আমি উজিরপুর মডেল থানায় ১৪ অক্টোবর সাধারণ ডায়েরী করেছি।এ ছাড়া শিকারপুর ইউনিয়নের বরতা গ্রামে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে ভূয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৩ হাজার ৫শত টাকা হাতিয়ে নেয়।এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জুবায়ের হোসেন জানান,বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪/৫ জন মিলে ভূয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করে নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
উজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আঃ রহিম সরদার জানান,বিষয়টি আমি শুনেছি,তবে কে বা কারা এসেছে আমার জানা নেই।সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেহ চাঁদাবাজী করলে তার দায়ভার প্রেসক্লাব নেবে না।উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান,ভূয়া পরিচয় দিয়ে কেউ চাঁদাবাজী করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার জানান,আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।