বাকেরগঞ্জবাসীর আতংক ফিরোজ আলম গৃহহীন পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক:ভয়ংকর ত্রাসে রুপ নিয়েছে বাকেরগঞ্জ মহেশপুরের ফিরোজ আলম।তারবেপরোয়া ত্রাসে অতিষ্ট স্থানীয় জনতা।দখল সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-কন্ট্রাক হামলা-মাদক কারবারসবই হয় তার রাজ্যে। থানায় ১২টি মামলা থাকার পরেও থামছে না ফিরোজ আলমের সন্ত্রাসীকর্মকান্ড।ভয়ে সব সময় পিছু হটেন এলাকারজন প্রতিনিধিরাও।সোমবার শহীদ আব্দুর রবসেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে মহেশ পুরের গৃহহীন রেদওয়ানা ইয়াসমিন রিমু ও জেলানহাওলাদারের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে ফিরোজ আলমের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খবর।রেদওয়ানা ইয়াসমিন রিমু জানান,ফিরোজ আলম তার আপন চাচা। পিতার মৃত্যুর পর একমাত্রপ্রতিবন্ধী ভাই ও বিধবা মা’কে নিয়ে অনেকটা টানাপোড়েনের মধ্যে সংসার চলে।
অভিবাবক বা মুরব্বী বলতে ছিলো আপন চাচা ফিরোজ আলম ও লিটন হাং। কিন্তু বাবামারা যাওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে এই দুই চাচা আমাদেরকে পারিবারিক ভাবে নিরবঅত্যাচার শুরু করে। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তিও তারা ভোগ দখল শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনেভুক্তভোগি ওই রিমু আরো বলেন,‘আমি তখন সাবালিকা একটি মেয়ে। চাচারা পাত্র দেখেআমাকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোন গুরুত্ব দিত না। পরক্ষণে ২০০৯ সালে একই বাড়ির ওপরেজেলান হাওলাদারের সাথে আমার বিয়ে হয়। তখন আমার চাচা ফিরোজ আলম আমার ভালোসহ্য করতে না পেরে আমার পরিবারকে সাকাল বিকাল মারধর করতে থাকে। ওই দুই চাচামহেশপুরের প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী হওয়ায় এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও কোন সুরাহা করতেপারেনি। পরে আমার স্বামিকে নিয়ে অনত্র ভাড়া থাকি।সে সুযোগে আমাকে অপহরন করাহয়েছে বলে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতেস্বামিকে নিয়ে দুরে চলে যাই। আর আমার মা’ চলে যায় নানা বাড়ি। একই সাথে আমারস্বামি জেলান হাওলাদার’র পিতা মাতাও বাড়ি ছেড়ে চলে যায়’। পরে মামলার ঝামেলা শেষকরে বাবার ভিটে মাটিতে ফিরতে চাইলেও আপন চাচা ফিরোজ আলম ও লিটন হাংবাড়িতে প্রবেশ করতে করতে পারছে না বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগি নারী। এমনকি বাবাররেখে যাওয়া ক্রয়কৃত মহেশপুর বাজারের ৭টি স্টলের ভাড়া এবং ৪৫ কড়া জমিসহ সবকিছুই তারা ভোগ করছে। আর ওই পরিবার অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন। পাশাপাশি তারস্বামি জেলান হাওলাদারকেও বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে থানায় মামলা
করতে গেলে চাচা ফিরোজ আলমের প্রভাবে থানায় মামলা নিচ্ছে না অভিযোগ রিমুর।তিনি প্রশাসনের সহযোগিতায় পিতা-মাতার ভিটে মাটিতে ফিরতে চাচ্ছেন বলে
সাংবাদিকদের কাছে জানান দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুম মাস্টার ও মেম্বরপিন্টু হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ভূক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ সত্য। প্রায়একযুগ যাবৎ তারা গৃহহীন হয়ে আছে। একাদিক বার চেষ্টা করেও কোন সুরাহা করতেপারিনি।