স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি টিম ঘটনাস্থলে খোজঁখবর নিচ্ছেন।
পাখি আক্তার:বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দোসতিনা গ্রামে একই বাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।এমনকি হাবিবুর রহমান তালুকদার(৬০)নামে এক বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন স্বজনরা।এ খবরে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। এরইমধ্যে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনার খোঁজখবর নিচ্ছে। যদিও বুধবার(২৫ সেপ্টেম্বর)দিবাগত রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো তথ্য দিতে পারেননি সিভিল সার্জন।
রাতে সিভিল সার্জন ডা.মনোয়ার হোসেন বলেন,উজিরপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।তবে আমরা এখনও নিশ্চিত নই যে ডায়রিয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি-না।তিনি বলেন,যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ(শেবাচিম)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।আসলে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে,তা জানতে আমি নিজে এ হাসপাতালে খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানতে পেরেছি,২৪ সেপ্টেম্বর রাতে শেবাচিম হাসপাতালে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি এর আগে বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।পরে তাকে পাঠানো হয়েছিল শেবাচিম হাসপাতালে। এখন আমরা জানতে চাচ্ছি,কী কারণে তাকে শেবাচিমে পাঠানো হয়েছিল।আর কী কারণে মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে সদর হাসপাতালে ওই এলাকার আরও চারজন ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি টিম ঘটনাস্থলে খোজঁখবর নিচ্ছেন।এক কথায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। আরও কিছু সময় লাগবে।এদিকে,স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন দোসতিনা গ্রামের মৃত সামছুল হক তালুকদারের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৬৫), একই বাড়ির আলমগীর হোসেন তালুকদার (৬০) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) এবং রুমা বেগম (৩৮)।এছাড়া পর্যায়ক্রমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একই বাড়ির চার বছরের শিশু নাদিয়া শেবাচিম হাসপাতালে এবং পারভীন বেগম(৩৮)ও মনির হাওলাদার(৩৫)বানারীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। আবার কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসাও নিয়েছেন।তবে কী কারণে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন,তা কেউ জানাতে পারেননি।