আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে
পাখি আক্তার:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি)উপাচার্যের অপসারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক উন্মেষ রায় বলেন, একজন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থেকে কতটুকু অনৈতিক ও অশিষ্টাচার হলে শিক্ষার্থীদের উপর ভাড়াটিয়া গোন্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়। অপরাধ আড়াল করতেই এতদিন নাটকীয়তা করেছেন উপাচার্য। প্রতিনিয়ত শিক্ষাথীদের মুক্ত স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা হচ্ছে। প্রশাসনের অপকর্মগুলো প্রকাশ করা হলেই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। অনতিবিলম্বে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্যকে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেবার এবং শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসাইন বলেন, বশেমুরবিপ্রবির আন্দোলনরত ভাই-বোনদের উপর উপাচার্যের পেটোয়া ও গুন্ডা বাহিনীর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এহেন কার্যক্রমের জন্য আমরা উপাচার্যকে সন্ত্রাস আখ্যায়িত করতে বাধ্য হলাম। আমরা মনেকরি শিক্ষার্থীরা তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ার কাহিনী প্রচার করার জন্যই সচেতন শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের দ্বারা হামলা চালান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের বিনত অনুরোধ বশেমুরবুপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দুর্নীতি ও অপকর্ম রোধ করার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য উপাচার্যকে অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি।উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকেউসাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।
তবে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভর্তি বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি, শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য ও স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ তুলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আন্দোলনের মুখে শনিবার সকালে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নির্দেশ উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ উপাচার্যের নির্দেশেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।