আকীদাহ ও দ্বীনের অন্যান্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।
আকীদাহ ও দ্বীনের অন্যান্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মূলনীতি হল আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে পরিপূর্ণরূপে আঁকড়িয়ে ধরা। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, ) ﻗُﻞْ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺗُﺤِﺒُّﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺗَّﺒِﻌُﻮﻧِﻲ ﻳُﺤْﺒِﺒْﻜُﻢْ ﺍﻟﻠَّﻪُ ( “হে নবী! আপনি বলুন যে, তোমরা যদি আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও, তাহলে আমার অনুসরণ কর। তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন।”
হাদিসশরীফে বর্ণিত আছে-
১) কোরআনশরীফে একটি ত্রিশ আয়াতের সূরা আছে। এই সূরা হাশরের দিন উহার নিয়মিত পাঠকারীদের জন্য সুপারিশ করে তাদের সমস্ত গোনাহ মাফ করিয়ে দিবে। উহা সূরা মুলক। (তিরমিজি)
২) হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা মূলক না পড়ে কোন রাতেই ঘুমাতেন না। (তিরমিজি)
৩) এই সূরা নিয়মিত পাঠ করলে কবর আযাব হতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। তিনদিন প্রত্যেহ তিনবার এই সূরা পড়ে চোখে দম করলে চুরোগ নিবারণ হয়।
৪) কোন একজন সাহাবি না জেনে কোন একটি কবরের উপর তাবু স্থাপন করেন, কিছুণ পরে তিনি উক্ত কবর হতে সূরা মূলক পাঠের শব্দ শুনতে পেলেন। এমনকি শেষপর্যন্ত পাঠ করা হল। উক্ত সাহাবি এ সম্বন্ধে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বললেন- এই সূরা (গোনাহ) বারণকারী (আল্লাহর আযাব থেকে) নাজাত প্রদানকারী। (তিরমিজি)
৫) নতুন চাঁদ উঠার সময় এই সূরা পাঠ করলে সারামাস খুশিতে কাটবে।
৬) হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন এই সূরা পাঠ করবে, সে কবরের আযাব ও কিয়ামতের বিপদ হতে মুক্তি পাবে।
৭) সূরা মূলক একচল্লিশবার পাঠ করলে সমস্ত বিপদ-আপদ হতে রা পাওয়া যায় এবং ঋণ পরিশোধ হয়।
৮) এই সূরা স্বপ্নে পড়তে দেখলে প্রচুর ধনবান হবে এবং নেক আমলের তাওফীক বৃদ্ধি পাবে।