চাঁদপুরা’য় অসহায় তানিয়া স্ত্রীর মর্যাদা পেতে,সমাজপতিদের ! দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছেন
রেদওয়ান শাওন:পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো তানিয়া আক্তার। চরকাউয়া ইউনিয়নের চরআইচা গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে রাছেল খানের সাথে গত বছর আগষ্ট মাসের ৩ তারিখ বিয়ে হয় তাদের। সংসার বেশ ভালোই চলছিলো তানিয়া ও রাছেলের। কিন্তু হঠাৎ পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের নৈমিত্র গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তানিয়া আক্তার। দরিদ্র ঘরের মেয়ে জেনেও প্রস্তাবের মাধ্যমে তানিয়াকে বিয়ে করেন, চরকাউয়া ইউনিয়নের চরআইচা গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে রাছেল খান। তানিয়া গরিব ঘরের কন্যা হওয়ায় এখন তাকে মেনে নিতে চাইছেন না রাছেল ও তার বাবা আলতাফ খান। এতে তানিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে দিন কাটাচ্ছে তার গোটা পরিবার। গত বছর (২০১৮) আগষ্ট মাসের ৩ তারিখ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে তানিয়াকে বিয়ে করে রাছেল। কিন্তু বিয়ের ৬-৭ মাস যেতে না যেতেই গা-ঢাকা দিয়েছে রাছেল। কোথাও কোন ভাবে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তানিয়ার স্বামী রাছেলকে। জানাগেছে রাছেলের সাথে তানিয়ার বিয়ে হওয়ার ২ মাস পার হতে না হতেই রাছেল ব্যাবসা করার নাম করে তানিয়া ও তার পরিবারের কাছ থেকে ৭৬,০০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদিকে নাম প্রকাশ না করে শর্তে চরআইচা এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি বলেন, রাছেল আরও ২-৩ টি বিয়ে করেছেন। এমনকি বিয়ে করার নামে মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে টাকা হাতানো হচ্ছে তার আরেকটি নেশা ও পেশা। সুত্রমতে আরও জানাগেছে রাছেল বিভিন্ন নেশা করে এবং বাসায় এসে বউকে মারধর করে, যার সাক্ষি আছেন রাছেলের বর্তমান স্ত্রী তানিয়া। তানিয়া ও তার পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, রাছেলের সাথে তানিয়ার বিয়ে হওয়ার পড়ে ৭৬,০০০ টাকা দিয়েছেন। তানিয়া আরও বলেন আমার মায়ের কাছ থেকে আবার ৫০ হাজার টাকা এনে দেওয়ার জন্য আমাকে মানসিকভাবে প্রেসার দিচ্ছে রাছেল। টাকা দেয়নি বলে আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চীত করে রেখেছে রাছেল। এখন স্ত্রী’র মর্যাদা পেতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরাচ্ছেন দরিদ্র অসহায় তানিয়া। কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছে না, সকলের দ্বারে দ্বারে গিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে তানিয়া ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে তানিয়ার মা জানায়, তার স্বামী অসুস্থ, সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে রাছেল তার মেয়েকে টাকা দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রেসার দেয়। তিনি আরো বলেন, রাছেলের বাবা আলতাফ খানের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তিনি তাদের বাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। আলতাফ খান গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি নয়। এ বিষয়ে তানিয়া আক্তার জানান, তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে রাছেল প্রতারণা করছে। এখন আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে পরেছে। তানিয়া আরো জানায়, গোপনে রাছেল তার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করে। সঠিক বিচার পেতে সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তানিয়া ও তার পরিবার। রাছেল ও তার বাবাকে (০১৭৬২-৫১২১২৪) নাম্বারে ফোন করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা হায়দার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।