পশু জবাই কাজে ব্যবহৃত নানান সরঞ্জাম কিনছে কিংবা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে। - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশু জবাই কাজে ব্যবহৃত নানান সরঞ্জাম কিনছে কিংবা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে।


রিক্তা আক্তার মালা:ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে বরিশালের সর্বত্রই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।যাদের কোরবানির পশু কেনা হয়ে গেছে, তারা এখন পশু জবাই কাজে ব্যবহৃত নানান সরঞ্জাম কিনছে কিংবা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে। কোরবানির মাংস কাটাকাটির এসব প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে খাটিয়ার (গাছের টুকরো) গুরুত্ব অনেকটাই। কোরবানি এলেই বেড়ে যায় খাটিয়ার কদর।

তবে খাটিয়া হিসেবে যেন তেন গাছের গুঁড়ি হলেই হবে না, এজন্য কসাইরা সব থেকে উত্তম হিসেবে মনে করেন তেঁতুল গাছের খাটিয়াকে। কসাইদের মতে তেঁতুল গাছ ছাড়া অন্য গাছ দিয়ে খাটিয়া তৈরি করলে মাংসের সঙ্গে গাছের গুঁড়ি উঠে মাংসের মান নষ্ট হয়ে যায়।তেঁতুল গাছের খাটিয়ার দরদাম করছেন ক্রেতারা।কাঠ ব্যবসায়ীরা গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেতুঁল গাছ সংগ্রহ করে স্ব-মিলে খণ্ড খণ্ড করে খাটিয়া তৈরি করে থাকেন।নগরে তেঁতুল গাছ দিয়ে তৈরি করা খাটিয়া বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছোট, মাঝারি ও বড় তিন ধরনের খাটিয়া রয়েছে। একটি খাটিয়া আকার আকৃতি অনুযায়ী ১ থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, গত কয়েক বছর থেকে গ্রামাঞ্চলে তেঁতুল গাছ পাওয়া বড়ই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। যাও বা পাওয়া যায় তা চড়ামূল্যে কিনতে হচ্ছে। ফলে তেঁতুল গাছ দিয়ে তৈরি করা খাটিয়ার দামও গতবছরের চেয়ে এবারে একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে।অপর ব্যবসায়ী আনিস জানান, কদর থাকলেও গত বছরের থেকে এখন পর্যন্ত বেচা-বিক্রি অনেকটাই কম রয়েছে। তবে ‍সময় থাকায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে বেচা-বিক্রি।

Top