ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে ও দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রা নিশ্চিত এবং একইভাবে কর্মস্থলে ফিরতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন
পাখি আক্তার:কোরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে ও দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রা নিশ্চিত এবং একইভাবে কর্মস্থলে ফিরতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (০৮ আগষ্ট) বরিশাল নগর ভবনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।মেয়র বলেন, নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের লক্ষ্যে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হয়। সাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে বলতে হয়, যদি কোন লঞ্চ তাড়াহুড়ো করে কোন অঘটন ঘটিয়ে আসে তাহলে আমরা বরিশালের ঘাটে সেই লঞ্চ ভিড়তে দেব না। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই ওই লঞ্চের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে সেটা তারাই জানে।
সভায় মেয়র সেরনিয়াবাত সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নদী বন্দর থেকে যাত্রীদের ফ্রি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে নগরের রুপাতলী ও নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে সবাই এতে একমত পোষণ করেন। সড়ক পথেও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পশুর চামড়ার দাম কম হওয়ায় চামড়া কেটে খালে বা ড্রেনে না ফেলে নির্দিস্টস্থানে ফেলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, নির্দিস্টস্থানে চামড়া ফেলার পর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা সেগুলো বিনামূল্যে বিভিন্ন মাদ্রাসায় পৌঁছে দেবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব কোরবানির বর্জ্য নগর থেকে অপসারণ করা হবে। আশা করি কোরবানির দিন রাত ৮টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে। নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ১৪২টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে নগরবাসীকে পশু কোরবানির জন্য আহবান জানানো হয়। তিনি বলেন, আমাদের তিনশ’ পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে। কোরবানির সময় আরো ছয়শ’ কর্মী যুক্ত করা হবে। ময়লাবহনকারী যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। আমরা মূলত রাস্তাঘাট-ড্রেন পরিষ্কার রাখতে পারবো। তবে যার যার বাসা-বাড়ি নিজেদের পরিষ্কার রাখা উচিত। আমরা সবার আগে শহরকে কোরবানির পশুর বর্জ্যমুক্ত করতে চাই।বিগত ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স সংকটের বিষয়ে মেয়র বলেন, সরকারি যে কোনো কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার দায় সরকারের উপর বর্তায়। তাই এদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে খেয়াল রাখা উচিত।সভায় নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থা, মূল শহর কেন্দ্রিক ও নদী বন্দর কেন্দ্রিক যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এবং গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ড.এ কে এম মাহাবুব হাসান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মো. শহীদুল ইসলাম,বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) হাবিবুর রহমান খান, বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য রাখেন।