নিশানবাড়ীয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিশানবাড়ীয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।


আলোকিত বার্তা:দক্ষিণাঞ্চলের এখন নতুন আশার আলো বরগুনাজেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নিশানবাড়ীয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড’ও বরিশাল ইলেট্রিক পাওয়ার কোম্পনী। ৩০৭ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে ২০২২ সালে। এদিকে নিশানবাড়ীয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে বিদ্যুতের লোডশেডিং কম হবে। কোন সমস্যা বা দুর্ঘটনা না ঘটলে বিদ্যুৎজনিত ভোগান্তি থাকবে না বললে ধারনা দক্ষিণাঞ্চলের জনসাধারনের। বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীড লাইনের বরিশাল স্টেশনের পর সমস্যা দেখা দিলেও ভোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সাময়িক সমস্যা মেটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিষয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ-অনুযোগের হার নিম্নমুখী হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।লোড শেডিং অনেক অংশে কমে যাবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন।নির্মাণাধীন পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তি স¤পন্ন পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘিরে বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়ায় ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য চলছে।চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড’ও বরিশাল ইলেট্রিক পাওয়ার কোম্পনী । ২০২২ সালে কয়লাভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।তালতলীর নিশানবাড়ীয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।ইতোমধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিগ্রহণে ফলে ১৩৯ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য নগত অর্থের চেক প্রধান করেন। এছাড়াও আবাসন প্রকল্প স¤পন্ন করে নির্মিত পুনর্বাসন নতুন স্বপ্নের ঠিকানায় ৪০টি পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর দেশের সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বাণিজ্যিক ভাবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে,এ বছরের শেষের দিকে এখানকার দুটি প্লান্টের প্রথম প্লান্টটি উৎপাদনে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পুনর্বাসন ও আবাসন প্রকল্প স¤পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৬ একর জমির ওপর নির্মিত পুনর্বাসন পল্লী স্বপ্নের ঠিকানা গত ২৭ অক্টোবর’২০১৮ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন।এখন সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৫ পরিবার বসবাস করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র সমূহ ও আইসোটেকের মিডিয়া এ্যাডভাইজার ফিরোজ চৌধুরী জানিয়েছেন,সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে এ প্রকল্পে। পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এখন সেখানে স্থানীয় বসবাসকারীদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সেখানে বর্তমানে পানি উন্নয়নের বোর্ডের জমিতে ১০৪টি পরিবার বসবাস করে। তাদের প্রত্যেককে পূর্নবাসন করা হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানে নির্মিত হবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির। থাকবে সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে সাড়ে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালিত হবে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে। সে জন্য পায়রায় নির্মাণ করা হচ্ছে বড় কোল-ইয়ার্ড। আমদানি করা কয়লা সরাসরি গভীর সমুদ্র থেকে এই কোল-ইয়ার্ডে আসবে। কয়লাভিত্তিক হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিবেশবান্ধব করার পরিকল্পনা সরকারের। বাংলাদেশের সর্বাধুনিক পাওয়ার প্লান্ট এখানে স্থাপিত হচ্ছে। আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্লান করা হচ্ছে। শকস অ্যান্ড নকসকে কন্ট্রোল করার জন্য ডি সালফারাইজেশন প্যান বসানো হবে। কয়লা যেন ছড়িয়ে না যায়, সে ব্যবস্থাও রাখা হবে। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বিশ্বাস জানান,সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার কাজ চলছে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লোড শেডিং এর সিস্টেমই থাকবে না। মানুষ নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবে।

Top