বিদ্যুৎ বিভাগ নিরব মির্জাগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগে ব্যবহারে বাড়ছে প্রানহানির ঘটনা
মোঃ ফারুক খান,মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী):পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও বসতবাড়ি থেকেঅবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগ নেয়ার ফলে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। আরএসব দূর্ঘটনায় প্রানহানির ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগকিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ ব্যবহারকারীদেরবিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় অভিযুক্ত অবৈধ বিদ্যুতব্যবহারকারীরা সব সময়ই পার পেয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মির্জাগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের কতিপয়অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার প্রত্যন্তগ্রামাঞ্চলের বাগানের মধ্যদিয়ে নিম্নমানের তারে সংযোগ দিয়ে সাইডলাইনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। এতে বৈধব্যবহারকারীর সংখ্যা না বাড়ায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব অর্জন থেকেবঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনায় প্রানহানিরসংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাহাকিম মাষ্টারের দোকানঘর থেকে প্রায় একহাজার ফুট দুরত্বের মির্জাগঞ্জআদর্শ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের পরিচালক মোঃআলমগীর মাঝি’র সমিতির নিজস্ব ভবনে নিম্নমানের চিকন তার দিয়েবাগানের মধ্যে দিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘ দিন যাবত সাইড লাইন টেনেবিদ্যুত ব্যবহার করে আসছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের চিকন তারদিয়ে সাইড লাইন টেনে বিদ্যুত ব্যবহারে বাধা দিলেও ওই সমিতিরপরিচালক তাতে কোন কর্ণপাত করেননি।ফলে গত ০৭ জুলাই রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মির্জাগঞ্জ গ্রামেরহাকিম মাষ্টারে বাড়ি থেকে নি¤œ মানের তার দিয়ে অবৈধ সংযোগনেয়ায় নিজ বাড়ী সংলগ্ধসঢ়;œ মোঃ কাদের আকন(৭০) পুকুরের পাশের বাগানেঝড়ে বিধ্বস্ত একটি কলাগাছ কাটতে গেলে গাছের সাথে ছিড়ে থাকাতারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলে সে মারা যায়। এদিকে ২০১৯ সালের ২৪এপ্রিল মাধবখালী ইউনিয়নের পূর্ব চৈতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরপিছনে গাভি আনতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে স্পৃষ্ট হয়েমুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাসেম আলী আকন (৬৭)সহ গাভীটিও মারা যান। ২০১৮সালের ৩০ জুলাই উপজেলার সৌজলিয়া গ্রামে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগেস্পৃষ্ট হয়ে ডিস শ্রমিক সোহেল মৃধা মারা যায়।
একই বছর উত্তর চৈতাগ্রামে অবৈধ সংযোগের বিদ্যুতের তাড়ে জড়িয়ে সমির নামে এক গাছশ্রমিকের মৃত্যু হয়। অবৈধ সাইড লাইন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টবিদ্যুৎ বিভাগ কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিনিয়তইপ্রানহানির ঘটনা ঘটছে। উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রেরইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, মির্জাগঞ্জ গ্রামের হাকিম মাষ্টারেরদোকান ঘর থেকে অবৈধ সংযোগ নেয়ার ব্যাপারে আমার জানা ছিলো না।তবে আমার অফিসের কোন লোক জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখেব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএমএম.কে বিশ^াস বলেন, পটুয়াখালীতে প্রায় সাড়ে তিনলাখ গ্রাহক রয়েছে।তবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারীদের সাথে আমার অফিসের কোনলোকজন জড়িত থাকলে তদন্ত পূর্বক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।