পেছনে কেউ আছে শেয়ারবাজারের পতনের - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ কোনো অবৈধ বিদেশির জায়গা হবে না বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি পরিবর্তন হলেও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা হেড অফিসে রয়েছে বহাল তবিয়তে এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা ,কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এবার বিআরটি লেইনে গুলিস্থান হয়ে গাজীপুর চলাচল করবে বিআরটিসির এসি বাস ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা,ভারতের সঙ্গে আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের প্রেতাত্মারা এখনো অবস্থান করছে থেমে আছে গ্রেফতারের উদ্যোগ

পেছনে কেউ আছে শেয়ারবাজারের পতনের


আলোকিত বার্তা:শেয়ারবাজারে চলমান মন্দার পেছনে কেউ না কেউ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার বিকেলে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।টানা তিন মাস ধরে দেশের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব চলছে। এতে তালিকাভুক্ত প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে হাওয়া হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে চরম লেনদেন খরা।

শেয়ারবাজারের এমন ভয়াবহ মন্দার কারণে গত দুই সপ্তাহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ করেছেন। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের বেশ দৌড়ঝাঁপ দেখা যায়।দফায় দফায় বৈঠক করেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।তবে অর্থমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেননি।যে কারণে শবে বরাতের বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরেই আজ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।বিএসইসির ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন,আমরা ওই রকম কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক করিনি।সামনে জাতীয় বাজেট। শেয়ারবাজারে দিকে আমাদের খেয়াল রয়েছে। অর্থনীতির সঙ্গে শেয়ারবাজারের একটা সম্পর্ক রয়েছে।সুতরাং শেয়ারবাজার ভালো হওয়া দরকার।এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়,বন্ধের দিনে বৈঠক করার কারণ কী?এর উত্তরে তিনি বলেন,আপনারাই তো পত্রিকায় লিখছেন,মার্কেট নাই হয়ে গেছে। কোথায় দেখলেন মার্কেট ফল (পতন) করছে? সূচক পাঁচ হাজার ৯০০ হয়ে গিয়েছিল।এখন পাঁচ হাজার তিনশ আছে।তিনি বলেন,শেয়ারবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।অর্থনীতি ভালো হলে শেয়ারবাজার ভালো হবে। শেয়ারবাজারে এমন ওঠা-নামা হতেই পারে। বাজারে এখন আমি খারাপ কিছু দেখি না।পাঁচ হাজার ৯০০ থেকে পাঁচ হাজার ৩০০ হয়েছে, এতে কী এমন হয়ে গেছে। সব জায়গায় শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা আছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভয় দেখালে হবে না।আমাদের শেয়ারবাজার অন্য জায়গার থেকে ভিন্ন। বাইরে থেকে যারা শেয়ারবাজারে আসেন তারা বোঝেন এবং পড়ালেখা করে আসেন। কিন্তু দুঃখ্জনকভাবে আমাদের এখানে শেয়ারবাজার বোঝেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম। সবাই যদি বুঝতো তাহলে বাজার নিয়ে আমাদের এতো শক্তিশালী কমিশন দরকার ছিল না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে অনেক আইন-কানুন করা হচ্ছে।তিনি বলেন,শেয়ারবাজারে আমরা কাউকে জোর করে আনতে পারি না। এখানে যার খুশি সে আসবে। যার ইচ্ছা হবে না, সে আসবে না। তবে সামনে বাজেট,আমরা চাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা আসুক।ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।অর্থমন্ত্রী বলেন,বাজারে বার বার এমন ঘটনা (পতন) ঘটছে, তার মানে এর পেছনে কেউ না কেউ আছে। একবার ১৯৯৬ সালে, আরেকবার ২০১০ সালে। ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠানোর ঘটনা খুবই কম। কিন্তু আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে।শেয়ারবাজার বর্তমানে ভালো অবস্থানে আছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিগুলো এখানে আসবে না। আসলে খারাপ কোম্পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে তারাও খারাপ হয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি, এ মুহূর্তে বাজার পরিস্থিতি খারাপ নয়। এখন মূল্য আয় অনুপাত (পিই) বেশ কম; ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে আছে। একসময় মূল্য আয় অনুপাত ৯০ হয়ে গিয়েছিল।

Top