বেশিরভাগ ক্রীড়া ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন স্বাধীনতা দিবসে ঘুমিয়ে
আলোকিত বার্তা:নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জাতি পালন করছে ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উৎসবমুখর পুরো দেশ; কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বরে সেভাবে ছড়ায়নি স্বাধীনতা দিবসের উৎসব। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এসেছিলেন শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে। ওই অনুষ্ঠান ঘিরেই কেবল উৎসবমুখর হয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকা। তারপর পুরোদিন ছিল অনেকটাই নীরব।
এর কারণ,বেশিরভাগ ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনই ঘুমিয়ে জাতির এই গৌরবময় দিন পার করে দিয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন ছাড়া আর কেউ এ দিনটি উপলক্ষে খেলাধুলার আয়োজন করেনি।পল্টন ময়দান ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক ক্রীড়া ভেন্যু। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম, হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম, রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স, উডেন ফ্লোর জিমন্যাশিয়াম, ভলিবল স্টেডিয়াম, কাবাডি স্টেডিয়াম, বক্সিং স্টেডিয়াম, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়াম ও সুইমিংপুল বিশাল পল্টনজুড়ে। সব ভেন্যুতে খেলার আয়োজন থাকলে অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হতো স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে; কিন্তু গৌরবের বিকেলটাকে আলাদা করা গেল না কোনোভাবে।
দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। সংখ্যাটা এখন ৫৩। এতগুলো ফেডারেশন যে দেশে সেই দেশের স্বাধীনতা দিবসে ক্রীড়াঙ্গন কী করে ঘুমিয়ে থাকে? ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন যে বছরব্যাপী ঘরোয়া কার্যক্রমের সূচি দেয় সেখানে স্বাধীনতা দিবসের খেলার কথাও উল্লেখ থাকে। স্বাধীনতা দিবসেরই নয়, ক্রীড়াপঞ্জির অনেক কর্মসূচিই পালন করে না বেশিরভাগ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন।স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশনা দিয়ে থাকি। সেটা চিঠি দিয়েই। যাতে সবাই বিভিন্ন প্রীতি খেলাধুলার আয়োজন করে। কোনো ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো দিবসটি পালন না করলে সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো। এখনই বলতে পারছি না কারা এ দিবসে খেলাধুলার আয়োজন করছে, কারা করছে না। আমরা খোঁজ-খবর নেবো। যারা করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’- বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশন, বাংলাদেশ শরীরগঠন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ফেন্সিং অ্যাসোসিয়েশন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে খেলাধুলার আয়োজন করেছে। এর বাইরে কোন ফেডারেশন কী করছে তা জানা যায়নি।দেশের প্রধান তিন ফেডারেশনের মধ্যে ফুটবল ও ক্রিকেট স্বাধীনতা দিবসে সরব থাকলেও নীরব ছিল হকি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যে বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করেছে সেখানে ১৭ থেকে ২৭ মার্চ হওয়ার কথা ছিল স্বাধীনতা দিবস হকি। ফেডারেশন আয়োজন করেনি। তবে ফেডারেশরসূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলে স্বাধীনতা দিবসের খেলা আয়োজন করতে পারে তারা।স্বাধীনতা দিবসে নীরব কেন? কিছু ফেডারেশন বলছে- সমস্যার কারণে তারা এখন আয়োজন করতে পারেনি। পরে করবে। আবার কিছু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।