বরিশালে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা গচ্চা - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বরিশালে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা গচ্চা নির্বাচনি সমীকরণে ওলটপালট রাজনীতি ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা গাজায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ৭০০র বেশি স্বজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল ঢাকা-১১ আসনে নাহিদকে শুভ কামনা জানিয়ে সরে গেলেন শিবিরের সাবেক সভাপতি হাসনাতের আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জামায়াত প্রার্থীর ভোটকেন্দ্র মেরামত,সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ইসির নির্দেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ

বরিশালে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা গচ্চা


স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল নগরীতে মিটার না দেখে পূর্বের বিলের অনুমানের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিল করায় গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা গচ্চা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মিটারের চেয়ে বেশি রিডিং দেখি ইউনিট বাড়িয়ে দেওয়ায় ইউনিট প্রতিও বাড়তি রেট গুনতে হয় গ্রাহকদের। এসব বিষয় উল্লেখ করে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একজন ভুক্তভোগী গ্রাহক।
বরিশাল নগরীর বিআইপি শাখা সড়কে বসবাসকারী ঐ ভুক্তভোগী গতকাল চাঁদমারী ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১) এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি সাধারণ শাখা গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপেক্ষমান রাখে।
এছাড়া একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, মিটার রিডাররা সরেজমিনে না গিয়েই বিল করেন। ইচ্ছেমত যার যত খুশি ইউনিট দেখিয়ে দেন। এসব নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তির শেষ নেই।
লিখিত অভিযোগে গ্রাহক বলেন, কয়েক মাস পূর্বে আমাদের মিটার রিডারের দায়িত্বে আসেন হারুনর রশিদ। তিনি আসার প্রথম মাস থেকে ৪০০ ইউনিট করে বিল দেখান। কিছুদিন পর আমার সন্দেহ হলে আমি চেক করে মিটারে বিলের চেয়ে রিডিং কম দেখতে পাই। এরপর রিডার হারুন সাহেবকে ফোন দিয়ে নিয়ে সরাসরি দেখাই। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানান, সামনের দিকে আর এভাবে হবেনা । অথচ এর পরেও তিনি মিটার না দেখেই গড়ে বিল দেখিয়ে যাচ্ছেন। নভেম্বর মাসে বিল দেখিয়েছেন ২৪০ ইউনিট। একমাস পরে বর্তমানে আছে মাত্র ৮৫ ইউনিট। অর্থাৎ তৎকালীন সময়ে তিনি অগ্রীম রিডিং দেখিয়ে বিল করেছেন। এভাবে বিগত মাস সমূহে আমার অনেক টাকা গচ্চা গেছে। এসব বিষয়ে ক্ষতি পূরণ ও প্রতিকার চেয়ে অভিযোগে আবেদন করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিটার রিডার হারুনর রশিদ বলেন, আমি সব জায়গায় মিটার দেখেই বিল করি। সরেজমিনে না গিয়ে বিল করার কোন সুযোগ নেই। ঐ গ্রাহকের যে গ্যাপ হয়েছে সেটা ঠিক করে দেওয়া যাবে।
ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুল কুমার স্বর্ণকার বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত স্বাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Top