পুলিশের বাড়তি নজরদারি বাস-রেল স্টেশনে - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিপুর বিপুল লুটপাট,পাহারায় উপদেষ্টার স্বামী ! ২৩ লাখ মৃত ভোটার,নতুন ভোটার ৬৩ লাখ সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার গণহত্যায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা পুরস্কৃত হচ্ছেন বিতর্কিতরা, বিবেচনায় নেই স্বৈরাচারবিরোধী অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীরা চুরি, ডাকাতি, অপহরণ,অবৈধ দখলদারির সহ বিভিন্ন মামলা থাকা সত্ত্বেও দেশকে অস্থিতিশীল করার মাষ্টার মাইন... কুয়েট ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সবাই কার্যকর অবদান রাখবেন বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ ১০-এ নেই রাজধানী ঢাকা নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

পুলিশের বাড়তি নজরদারি বাস-রেল স্টেশনে


আলোকিত বার্তা:আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গোয়েন্দা পুলিশ বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে বাড়তি নজরদারি করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো আছাদুজ্জামান মিয়া।শুক্রবার দুপুরে রাজধানী কমলাপুর রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে পথশিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।মজার ইশকুল আয়োজিত অনুষ্ঠানে অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের মজার ইশকুল ধানমন্ডি, শাহবাগ, সদরঘাট ও কমলাপুর এলাকার ৪০০ পথশিশুদের মাঝে এই ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মজার ইশকুলের উদ্যোক্তা আরিয়ান আরিফসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবারের রোজায় ঢাকা শহরে বলার মতো কোনো ছিনতাইয়ের ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা ঘটেনি। এমনকি অজ্ঞান পার্টি ও চুরির মতো ঘটনাও ঘটেনি। তার মানে ছিনতাইকারী বা অপরাধীরা নেই তা নয়। কারণ তাদেরকে আমরা ধাওয়ার ওপরে রেখেছি, দৌড়ের ওপর রেখেছি। রোজা শুরুর আগে থেকেই গোয়েন্দা সদস্যরা অপরাধীদের নজরদারি করেছে। যার কারণে অপরাধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অভিযানের ফলে অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। আমাদের কর্মকাণ্ডের জন্য অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণে ও দমনে রয়েছে।ঈদযাত্রা নিয়ে কমিশনার বলেন,ঘরমুখী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে আবার ঈদ উদযাপন শেষে নিরাপদে ঢাকায় ফিরতে পারে সেজন্য নানামূখী কাজ করা হচ্ছে। বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশনে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় সেজন্য পুলিশসহ গোয়েন্দারা কাজ করছে। ঈদকে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ একা অপরাধীদের দমন করতে পারবে না, সুশাসন আনতে পারবে না,জনগনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে না। সাংবাদিক, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি সবাই একসাথে কাজ করতে পারব তখন সবকিছু করা সম্ভব। অপরাধের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই যখন একযোগে লড়তে পারব ঠিক তখনই আমরা সফল হতে পারব।

কমিশনার বলেন, আমরা পুলিশের লোক সারাদিন ডিউটি করি। রমজানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শহরে দুই হাজার পুলিশ সদস্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে সারাদিন ডিউটি করে। এমনকি প্রিয়জনদের সাথে ইফতার করতে পারে না। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা খেঁজুর ও এক গ্লাস পানি পান করে ইফতার করছে। এরপরেও মুখে হাসি দিয়ে নাগরিকদের সুবিধার স্বার্থে তারা দায়িত্ব পালন করছে। সারাদিন সারারাত আমরা দায়িত্ব পালন করি। চেকপোস্ট-তল্লাশি, ব্লক রেইড করছি যাতে করে সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্তরা শান্তিকামী মানুষকে যেন কষ্ট দিতে না পারে।নতুন পোশাক বিতরণের পর শিশুদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, তোমাদের প্রতি একটাই অনুরোধ, তোমরা মাদকের সাথে যুক্ত হবে না। এটি ভয়াবহ ক্যান্সার। কারণ রোগ হলে একজন মানুষ মারা যায়, দুর্ঘটনা ঘটলে কয়েকজন মারা যায়। কিন্তু মাদক নিলে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়, সমাজ ও জাতি শেষ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়। তোমরা মাদকের ধারে কাছে যাবে না। মাদক কেউ দিতে চাইলে সাথে সাথে তা পুলিশকে জানাবে। আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করব। মজার ইশকুলের এমন উদ্যোগের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানায়। ভবিষ্যতে এমন কাজের জন্য আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।

তিনি বলেন, সামাজিক ও ধর্মীয় দায়িত্বপালনে মজার ইশকুলের আয়োজন আমাদের কাছে অনুকরণীয়। পথ শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ঈদ সবার জন্য, ছোট বাচ্চারা তোমরা যারা এসেছো তারা ঈদে নতুন কাপড় পড়বে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ডিএমপির পক্ষ থেকে আমরা ঢাকা মহানগরীর চার জায়গায় দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে ইতোমধ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণ করেছি। আগামীকালও দুই জায়গায় ঈদবস্ত্র বিতরণ করবো।তিনি আরো বলেন,একজনের প্রতি আর একজনের দায়িত্ববোধ সহমর্মিতা আমাদের সমাজকে সুন্দর করতে পারে। একজনের প্রতি আরেকজনের দায়িত্ববোধ থেকেই এগিয়ে আসতে হবে। মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি ও অসহিঞ্চুতা থেকে সরিয়ে এনে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে আমাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।

Top