দর্জিপাড়ায় কর্মব্যস্ততা এখনও শুরু হয়নি বরিশালের - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিপুর বিপুল লুটপাট,পাহারায় উপদেষ্টার স্বামী ! ২৩ লাখ মৃত ভোটার,নতুন ভোটার ৬৩ লাখ সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার গণহত্যায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা পুরস্কৃত হচ্ছেন বিতর্কিতরা, বিবেচনায় নেই স্বৈরাচারবিরোধী অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীরা চুরি, ডাকাতি, অপহরণ,অবৈধ দখলদারির সহ বিভিন্ন মামলা থাকা সত্ত্বেও দেশকে অস্থিতিশীল করার মাষ্টার মাইন... কুয়েট ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সবাই কার্যকর অবদান রাখবেন বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ ১০-এ নেই রাজধানী ঢাকা নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

দর্জিপাড়ায় কর্মব্যস্ততা এখনও শুরু হয়নি বরিশালের


আলোকিত বার্তা:পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে প্রতিবছর এমন সময়ে দর্জিপাড়ায় ভিড় করেন উৎসবমুখর সাধারণ মানুষ। কিন্তু বরিশালের প্রেক্ষাপটে এবার এখনও দর্জিপাড়ায় সাধারণ মানুষের ভিড় তেমন দেখা যায়নি। আর এর প্রভাব পড়েছে সিট বা গজ কাপড় ব্যবসায়ীদের ওপর। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে ফ্যাশন হাউজ ও অনলাইন শপের সংখ্যা যেমন বেড়েছে বরিশালে, তেমনি রেডিমেট পোশাকের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের। তাই দর্জিপাড়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে ১৫ রমজান থেকে দর্জিপাড়ায় কাজের চাপ কিছুটা বাড়বে বলে দাবি তাদের।

বরিশাল নগরের কাটপট্টি রোডের ঝুমকা টেইলার্সের মালিক সুব্রত কর্মকার বলেন, আমরা এখানে শুরু নারীদের পোশাক তৈরি করে থাকি। প্রতিবছর এ সময়ে প্রচুর কাজ থাকে এবং ১৫ রমজানের পর থেকে কাজ নেওয়া কমিয়ে দিতে থাকি। আর ২০ রমজানের পর তো নতুন কোনো কাজই নেওয়াই সম্ভব হয় না। আর সেখানে এবছর বেশ কয়েকটি রমজান চলে গেলেও স্বাভাবিক সময়ের মতো হাতে কাজ রয়েছে। এ অবস্থা পুরো দর্জিপাড়ার।তবে ১৫ রমজানের পর চিত্র কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পোশাক বানিয়ে পড়তে একটু ঝক্কি-ঝামেলা রয়েছে, তাই বেশিরভাগই রেডিমেট পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন। বরিশালে গত ৪ বছরে যেমন বেড়েছে, ফ্যাশন হাউজ, তেমনি বেড়েছে রেডিমেট পোশাকের দোকান। আবার অনলাইন শপেও পাওয়া যাচ্ছে রেডিমেট পোশাক। তার সঙ্গে আবার বাসা-বাড়িতে, পাড়া-মহল্লায়ও অনেকে দর্জির কাজ করছেন, সেখান থেকে রেডিমেট পোশাক ঠিকঠাক করাসহ ছোটখাটো কাজ সহজেই করে নিচ্ছেন। এতে করে মূল দর্জিপাড়ার ওপর কিছুটা প্রভাব পরছে। তবে নিয়মিত যারা পোশাক তৈরি করে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য করেন তারা ঠিকই দর্জিপাড়ায় আসেন।

নগরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউর টপটেন নামের ছেলেদের পোশাক তৈরির টেইলার্সের মালিক মো. কুদ্দুস বলেন,সারাবছরের মতো স্বাভাবিক নিয়মেই কাটছে দিন। এবারে এখন পর্যন্ত কাজের কোনো চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। ঈদে আদৌ চাপ হবে কিনা তাও নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর রেডিমেট পোশাকে বরাবরই ছেলেদের আগ্রহ বেশি থাকে এটাও মেনে নিতে হবে।এদিকে দর্জিপাড়ায় মতো সিট বা থান কাপড় বিক্রির দোকানেও তেমন কোনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি এখনও। তাদের দাবি ১০-১২ রমজানের পর বরিশালে ঈদ বাজারে বেচা-বিক্রি শুরু হবে।এই ব্যবসায়ীদের মতে,রেডিমেট পোশাক ও ফ্যাশন হাউজের পাশাপাশি অনেকে বরিশালের বাহিরে এমনকি অনেকে দেশের বাহিরে গিয়েও ঈদ বাজার করছেন এখন।অপরদিকে নগরের চকবাজার,কাটপট্টি, সদররোড,ফজলুল হক অ্যাভিনিউ,বটতলাসহ বিভিন্ন সড়কের শপিংমলগুলোতে পোশাক কেনাকাটায় তেমনভাবে ভিড় বাড়েনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বাজারে আগামী শুক্রবার থেকে পুরোদমে বেচা-বিক্রি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

Top