১৫০ লঞ্চ ছাড়বে সদরঘাট থেকে ঈদে প্রতিদিন
আলোকিত বার্তা:প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।যাত্রীদের ভোগান্তি ও উপচেপড়া ভীড় রোধে লঞ্চগুলো রাখা হবে স্ট্যান্ডবাই। পাশাপাশি টার্মিনাল ও এর আশপাশে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।গতবারের মতো এবারও ঈদে নৌপথের যাত্রা হবে নিরাপদ ও আরামদায়ক, এমনই আশা করছে টার্মিনাল প্রশাসন। সদরঘাট নৌ-টার্মিনালের ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে শনিবার সেখানে গেলে এ আশার বাণী শোনান দায়িত্বরত কর্মকর্তা, মালিক সমিতি ও কর্মচারীরা।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি যাত্রীদের নিরাপদে স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে। গতবারের মতো এবারও কোনো বিঘ্ন ছাড়াই যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে যেন পৌঁছাতে পারে, সেজন্য নেয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টার্মিনাল সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। রাস্তার যানজট এড়াতে টার্মিনালে যাত্রী ছাড়া কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিআইডব্লিউটিএর স্পেশাল ক্যাডেট, ম্যজিস্ট্রেটসহ বিশেষ বাহিনী লঞ্চঘাটের বিভিন্ন স্থানের নিরাপত্তা এবং দুর্ভোগ এড়াতে সর্বদা তৎপর থাকবে। এছাড়া সদরঘাট টার্মিনাল এখন স্থায়ীভাবে হকারমুক্ত। আগে তাদের তাড়িয়ে দিলে তারা একটু পরেই আবার ফিরে আসত। এখন সেটাও দমন করা হয়েছে। ঈদের সময়ও তা বহাল থাকবে। আগে যেমন চুরি, ছিনতাই, মলমপার্টির খপ্পরে অনেকে সর্বস্ব হারাত, এখন আর এসব নেই। টার্মিনাল এখন এসব অপরাধমুক্ত।
ভাড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আরিফ উদ্দিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হবে না, সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হবে। বরং ঈদের মৌসুম ছাড়া অন্য সময় ভাড়া অনেক কম নেয়া হয়। তাই এ সময় যাত্রীরা মনে করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু মোটেও তা অতিরিক্ত নয়।বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণত প্রতিদিন গড়ে ৮০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে ২৫ রোজা থেকে স্পেশাল লঞ্চসহ প্রতিদিন ১৫০টি লঞ্চ চলবে। এছাড়া এক হাজার যাত্রী যেন টার্মিনালে অপেক্ষা করতে পারে সে ব্যবস্থাও থাকবে।
সরেজমিন দেখা যায়, ঈদ সামনে রেখে চলছে লঞ্চ মেরামতের কাজ। অচল হয়ে পড়ে থাকা অনেক লঞ্চের সংস্কারে ব্যস্ত শ্রমিকরা। পুরাতন লঞ্চগুলোতে পড়ছে রঙের প্রলেপ। ত্রুটি ও ঝুঁকিপূর্ণ লক্কর-ঝক্কর লঞ্চগুলো আকর্ষণীয় করতে মালিকদের চেষ্টার যেন কমতি নেই। দ্রুত কাজ সম্পন্নে রাখছেন বিশেষ নজর।এছাড়া লঞ্চগুলোতে লাইটিংসহ সৌন্দর্যবর্ধনের বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।লঞ্চ মালিক সমিতির স্ট্যান্ডবাই কমিটির আহবায়ক মামুন-অর-রশিদ জানান, যাত্রীদের থেকে কখনোই অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয় না, বরং সবসময় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক কম ভাড়া নেয়া হয়। যেহেতু ঈদে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে খালি লঞ্চ নিয়ে ফিরে আসতে হয়, তাই সেটা পুষিয়ে নিতে পুরো ভাড়া নেয়া হয়। এছাড়া অনেক লঞ্চ স্ট্যান্ডবাই রাখা হয় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখানে এখন আর মলমপার্টি, ছিনতাইকারীর উপদ্রব নেই। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি।