যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে বরিশালে জিজ্ঞাসাবাদ
আলোকিত বার্তা:বরিশাল নগরের হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এনামুল হক নাসিম নামে এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, পুলিশ বলছে আটক নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এদিকে,এনামুল হক নাসিমকে স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের কাছে তাকে ভালো শিক্ষক দাবি করে। এসময় এনামুল হক নাসিম নিজেও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আলোকিত বার্তাকে জানান, শিক্ষক এনামুল হক নাসিমের বিরুদ্ধে একই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌখিক এ অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অপরদিকে, এ ঘটনার পরপরই এনামুল হক নাসিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যারা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বলেন, গত ২ মে স্কুল চলাকালীন সময়ে চার শিক্ষার্থী আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয় যে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার (গায়ে হাত) করেছেন শিক্ষক এনামুল হক নাসিম। বিষয়টি নারী ঘটিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নাজমা বেগমের কাছে বিস্তারিত বলার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে দেই। পরে তার কাছ থেকে যেটুকু জেনেছি ওরা তার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। এরপর স্কুল বন্ধ হয়ে গেলেও কোনো অভিভাবক বা শিক্ষার্থী আমার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার চিন্তাভাবনা থেকেই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এর আগেই যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক নাসিমকে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর ধরে হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে এনামুল হক নাসিম। স্কুল শিক্ষকতার পাশাপাশি বিদ্যালয় সংলগ্ন গোরাচাদ দাশ রোডের একটি বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে কোচিং পরিচালনা করেন।