সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমে
আলোকিত বার্তা:শেয়ার বাজারে ধস, রিজার্ভ চুরি, দেশের ব্যাংকগুলোর সঠিক তদারকি করতে ব্যর্থ হওয়া, ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধাসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় এ ব্যাংকটির কাজ কী তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আগামীতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে আলাদা করে একাধিক বৈঠকও করবে বলে কমিটি ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন,‘বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। একজন এমডি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি টাকা নিয়েছেন। এর কোনো স্বচ্ছতা বা জবাবদিহিতা আছে কিনা? আমি তাদের কাছে জানতে চাই আপনারা কি জানেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ কী? আমরা ঋণখেলাপি কমিয়ে আনার কথা বলেছি। আর বিলখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছি।তিনি বলেন,আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছি একটি কোম্পানির মূলধন পাঁচ কোটি টাকা। অথচ তারা শেয়ার ছাড়ে ১০০ কোটি টাকার। এটা কীভাবে তারা করে? এ ছাড়া আমরা ট্যাক্সের আওতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। এসবের জবাবে কর্মকর্তারা বলেছেন- এসব বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ নিয়ে কমিটি সন্তুষ্ট নয়। এ জন্য সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শেয়ারবাজারের দিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকটির আরও নজর দেয়া দরকার।’বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৩৬.৯৭ কোটি টাকা।বৈঠকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার পরিবহনে নদীপথের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১’ নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।এ ছাড়াও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সুপারিশ করেছে কমিটি।কমিটির সদস্য মো. দবিরুল ইসলাম, মো. মুজিবুল হক, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইমাম এবং ফজিলাতুন নেসা বৈঠকে অংশ নেন।