চলছে প্রচারণা,বরিশালে নৌযান চলাচল বন্ধ,ফণী
আলোকিত বার্তা:ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার আশঙ্কায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।অধিক নিরাপত্তার জন্য সকালে ছোট নৌযানগুলো নৌবন্দর থেকে ডকইয়ার্ড ও ছোট খালে স্থানান্তর করা হয়েছে।শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে কিছু যাত্রী বরিশাল নদী বন্দরে এলেও ঘাটে লঞ্চ না পেয়ে ফিরে গেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে ঢাকা ও শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে বরিশালে কোনো দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল করেনি।এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ হঠাৎ অভ্যন্তরীণ সবরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারেননি। এরমধ্যে ব্যবসা ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজে যারা ভোলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বরিশাল শহরে এসেছেন। তারা এখন গন্তব্যে যেতে না পেরে বরিশালে আটকা পড়েছেন।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার আলোকিত বার্তাকে জানান, তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পরই সবধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন।
বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন আলোকিত বার্তাকে জানান, বিআইডব্লিউটির নির্দেশনা মেনে কোনো লঞ্চ চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। জেলায় ২৩২টি সাইক্লোন শেল্টার, চারশ’ স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিমের পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিটি করপোরেশনও তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। তারা এরইমধ্যে ৩১টি হটলাইন নম্বর চালু করেছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন আলোকিত বার্তাকে জানান, প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিমকে নিরাপদ, গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এদিকে, সকাল থেকে বরিশালে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। সঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা জোরে বাতাস বইছে। নদীতে পানি কিছুটা বেড়েছে।বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বরিশালে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। এছাড়া ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে আসা বাতাস বইছে। এখন পর্যন্ত বরিশালের কোথাও বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিকেল ৩টা নাগাদ আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।এদিকে, নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং করছে জনপ্রতিনিধিরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাইক্লোন শেল্টারে কেউ আশ্রয় নেননি।